Hare to Whatsapp
কীর্তন মানুষের মনে আধ্যাত্মিকতার ভাবনাকে জাগ্রত করে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, অক্টোম্বর ২৮, ২০২৪: কীর্তন মানুষের মনে আধ্যাত্মিকতার ভাবনাকে জাগ্রত করে। তাই মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে কীর্তন শুনতে আগ্রহী থাকেন। কীর্তন সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। ২৭ অক্টোবর মুক্তধারাতে তারকব্রক্ষ্ম কীর্তনীয়া শিল্পী সমিতির দ্বিতীয় প্রদেশ সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেকে চিনতে হলে আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনার সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। কীর্তন মানুষের মনে সেই আধ্যাত্মিকতার ভাব জাগিয়ে তোলে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিন্দু ধর্মের প্রসারে স্বামী বিবেকানন্দ যে চিন্তাধারা প্রচার করেছিলেন তা আজও প্রাসঙ্গিক। সনাতন ধর্মের প্রসারে কীর্তনের কিভাবে বিশ্বব্যাপী প্রসার করা যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। রাজ্য সরকারও কীর্তন সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আন্তরিক। অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নব প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে কীর্তনীয়াদেরও অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। অনুষ্ঠানে তপশিলিজাতি কল্যাণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, আধুনিক তথা ডিজিটাল যুগেও কীর্তন সংস্কৃতিকে যাতে বাঁচিয়ে রাখা যায় সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তারকব্রক্ষ্ম কীর্তনীয়া শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিমল নাথ, সমিতির চেয়ারম্যান জগমোহন নাথ প্রমুখ।