Hare to Whatsapp

প্রত্যেকটি জাতিগোষ্ঠীর নিজস্বতা বহন করে তার কৃষ্টি সংস্কৃতি : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, অক্টোম্বর ২৭, ২০২৪: আমাদের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি, সংস্কৃতি নৃত্য কলার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় জীবনের রসদ। প্রত্যেকটি জাতিগোষ্ঠীর নিজস্বতা বহন করে তার কৃষ্টি সংস্কৃতি। ২৬

অক্টোবর অরুন্ধতীনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মাঠে আগরতলা পুরনিগমের ৩৯ নং পুর ওয়ার্ড আয়োজিত শহর দক্ষিণাঞ্চল ভিত্তিক তৃতীয় শারদ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতির পরিবেশ অক্ষুন্ন থাকাতেই এবারের শারদোৎসব কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। জনজাতি এলাকাগুলিতে পর্যন্ত মহাসমারোহে উৎসবের দিনগুলি অতিবাহিত হয়েছে। সবার সক্রিয় সহযোগিতাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ও শান্তি। এক্ষেত্রে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিতকারীদের প্রতি সরকারের কঠোর মনোভাবের কথাও মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ত্রিপুরা দেশের মধ্যে যথেষ্ট ভালো স্থানে রয়েছে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ক্লাব সংস্কৃতির বিরূপ অভিজ্ঞতা কাটিয়ে বর্তমানে ক্লাবগুলিতে তৈরি হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ। ক্লাবগুলি এখন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার নেশার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে। পাশাপাশি প্লাস্টিক মুক্ত ত্রিপুরা গড়ারও উদ্যোগী হয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলেন মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা, কৃষি, উদ্যান, ক্রীড়া প্রভৃতি ক্ষেত্রের উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে ত্রিপুরা সর্বভারতীয় স্তরে উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গির ফলে ত্রিপুরার সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার বলেন, রাজ্য সরকারের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত থাকাতেই রাজ্যবাসী সারা রাতব্যাপী এবারের দুর্গোৎসব উপভোগ করেছেন। রাজ্যের ঐতিহ্যকে স্মরণে রেখে তুলসীবতী স্কুলের সামনের রাজপথে মায়ের গমন কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি প্রতিমা নিরঞ্জনের দশমীঘাটকেও আধুনিক ব্যবস্থাপনায় নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক মীনা রাণী সরকার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, কর্পোরেটর অভিজিৎ মৌলিক, ত্রিপুরা মার্কফেডের ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জয় সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবী অসীম ভট্টাচার্য প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরগনিমের ৩৯ নং ওয়ার্ডের কর্পোরেটর অলক রায়। অনুষ্ঠানে ১২টি বিভাগে শহর দক্ষিণাঞ্চলের ২৭টি ক্লাবকে পুরস্কৃত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ পুরস্কার প্রাপক ক্লাবগুলির কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কারগুলি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে কৃতী ব্যক্তিত্বদেরও সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে আগরতলা শহরের ১০টি নৃত্য দল ধামাইল নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্রামগঞ্জের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্রীরা ব্যান্ড প্রদর্শন করেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.