Hare to Whatsapp
চট্টগ্রামের টেকনাফে হাজার হাজার পঙ্গপালের হানা চলছে, গাছের পাতা নিমেষেই খেয়ে ফেলছে, ত্রিপুরাতেও হামলে পড়তে পারে
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ৩০, : প্রতিবেশী বাংলাদেশে অদ্ভূত অদ্ভূত সব ঘটনা। একদিকে হাজার হাজার পঙ্গপালের হানা অন্যদিকে জুতার বাক্সের ভেতর ২০০ গোখরা সাপ। এই সব ঘটনা নিয়ে করোনা আবহের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
খবর বলছে, চট্টগ্রামের টেকনাফে হাজার হাজার পঙ্গপালের হানা চলছে। পঙ্গপালের দল একের পর এক গাছের পাতা নিমেষেই খেয়ে ফেলছে। তবে দিনে নয় রাতেই এই হানা পঙ্গপালের দলের।
হিন্দু পত্রিকা কদিন আগেই বলেছে পঙ্গপালের দল কদিনের মধ্যেই ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এমনকি ত্রিপুরাতেও হামলে পড়তে পারে। এখন পঙ্গপালের দল হামলা চালিয়েছে টেকনাফে। প্রথমে এর সংবাদ আসে ওই এলাকার একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি খামার থেকে। সেখানকার কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন এগুলি বিরল প্রজাতির। দেখতে অনেকটা পঙ্গপালের মত। গাছের পাতা সাবার করে দিচ্ছে। টেকনাফে এক ভদ্রলোকের বাড়ীর মধ্যে এই হামলা হয়। এরা আম সহ অন্যান্য গাছের পাতা খেয়ে ফেলেছে।এমনি অবস্হা গাছগুলির ডালপালা ছাড়া আর কিছু থাকছে না। আবার অনেক গাছের পাতা সব ঝলসেও গেছে। খবর পেয়ে ছুটে যায় কৃষি কর্মকর্তারা। এঁরা ঔষুধ দিয়ে বেশ কিছু মেরে ফেলে। হলে কি হবে একটু বাদেই আবার ছুটে আসছে পঙ্গপালের মত দেখতে পোকার দল। দিনে পোকার আক্রমণ কম কিন্তু রাতে আক্রমণ ভয়ংকর। এ পোকা সব পাতা নিমেষেই খেয়ে ফেলছে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন এধরনের পোকা যেগুলি দেখতে হুবহু পঙ্গপালের মত হলেও এগুলি পঙ্গপাল নয়। কেননা পঙ্গপাল এর পাখা থাকে ও উড়তে পারে। কিন্তু এগুলোর পাখা নেই, লাফিয়ে লাফিয়ে চলে।
সম্প্রতি হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই পঙ্গপাল ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে সহসাই ভারতের কৃষি জমিতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে লালমনিরহাটে হাতিবান্ধা থেকে চাঞ্চল্যকর খবর এসেছে। খবরটি হল একটি জুতার দোকান পরিস্কার করার সময় জুতার বাস্ক থেকে ২০০ টির মত বিষাক্ত গোখরা সাপের বাচ্চা বেড়িয়ে আসে। চিৎকার চেঁচামেচিতে লোকজন বেরিয়ে এসে এগুলি সব মেরে ফেলে। পরে বন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান তারা খবর পেলে এগুলো জীবন্ত ধরে নিয়ে মেতে পারতেন। পঙ্গপালের হানা, গোখরা সাপ উদ্ধারের ঘটনায় ও দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।