২৯ মে থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান : সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ২৯, : খারিফ মরশুমকে সামনে রেখে কৃষিক্ষেত্র আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য শুরু হতে যাচ্ছে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান৷ আগামীকাল ২৯ মে থেকে সারা দেশের সঙ্গে ত্রিপুরাতেও শুরু হবে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান। অভিযান চলবে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত। ২৮ মে সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ এই সংবাদ জানান।
কৃষিমন্ত্রী জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সারা রাজ্যের ৮টি জেলার ৮৬৪টি স্থানে এই অভিযান উপলক্ষ্যে কৃষি সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি জেলায় তিনটি করে কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিদিন ৭২টি সভা করা হবে। ন্যূনতম ২০০ জন কৃষকদের নিয়ে এই সভাগুলি করা হবে। এই অভিযানে মোট ২৪টি কৃষি রথকে রাজ্যব্যাপী কাজে লাগানো হবে। কৃষি সংক্রান্ত প্রচার অভিযানের জন্য প্রতিটি টিমের সাথে থাকবে একটি করে রথ। আগামীকাল সিপাহীজলা জেলায় এই অভিযান কর্মসূচির সূচনা হবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার উপস্থিতিতে। তিনি জানান, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশে কৃষিক্ষেত্রের সমৃদ্ধি ঘটানো এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ধারণাকে কৃষকদের কাছে পৌঁছানো। এছাড়াও ক্ষেত্র পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের কাজ থেকে কৃষির প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে অবগত হওয়া। পাশাপাশি কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে জ্ঞাত হওয়া।
কৃষিমন্ত্রী জানান, এই কর্মসূচির আরও যে উদ্দেশ্য রয়েছে তা হলো কিভাবে আমরা কৃষিতে আত্মনির্ভর হতে পারি। এছাড়াও সভাগুলিতে কৃষকদের উন্নতির স্বার্থে এবং কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সভাগুলিতে কৃষকদের চাহিদা, সুবিধা-অসুবিধা, কেমন মাটিতে কি ধরণের চাষ, উন্নত আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, জৈবচাষ পদ্ধতি, জৈবচাষের গুরুত্ব, কৃষিক্ষেত্রে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার, জলবায়ু অনুকূল চাষ পদ্ধতি, আবহাওয়া এবং ফসলবীমা সম্পর্কে অবহিতকরণ, পশুপালন পদ্ধতি, মৎস্যচাষ পদ্ধতি ইত্যাদি বিভিন্ন কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি জানান, এই সভাগুলিতে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি কৃষি, প্রাণীসম্পদ বিকাশ ও মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকগণ, কে.ভি.কে,, আই.সি.এ.আর. ইত্যাদি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির কৃষি বৈজ্ঞানিক এবং এফ.পি.ও.-রাও উপস্থিত থাকবেন। কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং কৃষকদের উন্নতির স্বার্থে খুবই আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলছেন। এরই ফলস্বরূপ বর্তমানে রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে শিক্ষিত যুবক যুবতীরাও এগিয়ে আসছে। মূলত দেশের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ এবং আধুনিক প্রযুক্তিকে তাদের কাছে পৌঁছে দিতেই এই অভিযানের সূচনা৷ কৃষিমন্ত্রী জানান, এই অভিযানকে রাজ্যে সফলভাবে সম্পন্ন করতে সরকার থেকে চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি রাজ্যের সকল অংশের নাগরিকের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন...