Hare to Whatsapp
উন্নত শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়নের সাথে সাথে রাজ্যে উন্নত ক্রীড়া পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, অক্টোম্বর ৭, ২০২৪: পড়াশোনার সাথে খেলাধুলা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই উন্নত শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়নের সাথে সাথে রাজ্যে উন্নত ক্রীড়া পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে রাজ্যে ক্রীড়াবিদরা সাফল্য পেতে পারে। ৬ অক্টোবর খোয়াইয়ে দূর্গানগরে খোয়াই সরকারি ইংরেজীমাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে নবনির্মিত দ্বিতল ভবন, সিঙ্গিছড়ায় শরৎচন্দ্র দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নবনির্মিত দ্বিতল ভবন ও খোয়াই সরকারি বালক দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। খোয়াইয়ে আজ দুটি বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন ও সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠের উদ্বোধন উপলক্ষে খোয়াই সরকারি ইংরেজী মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ছাড়া রাজ্য ও দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। রাজ্য সরকার শিক্ষার পরিকাঠামোর পাশাপাশি ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে। উল্লেখ্য, খোয়াই সরকারি বালক দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ তৈরীতে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি টাকা। খোয়াই সরকারি ইংরেজী মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে নবনির্মিত দ্বিতল ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা এবং শরৎচন্দ্র দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নবনির্মিত দ্বিতল ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৬ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে গুণগত শিক্ষার প্রসারে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সুপার ৩০ মুখ্যমন্ত্রী মেরিট অ্যাওয়ার্ড, নিপুন ত্রিপুরা, ভিশন মুকুল, বিদ্যাসেতু প্রভৃতি প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পিএমজনমন কর্মসূচিতে ৭টি বিদ্যালয়কে এর আওতায় আনা হয়েছে। কম্পিউটার ইন স্কুল কর্মসূচিতে রাজ্যে ৮৯৮টি স্কুলে এই সুবিধা রয়েছে। ২২৭টি বিদ্যালয়ে টিংকারিং ল্যাবেরোটরি চালু করা হয়েছে। ৫৫টি স্কুলকে পিএমশ্রী স্কুলের আওতায় আনা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য অডিও ভিজুয়্যাল ক্লাসও চালু করা হয়েছে। বাংলা ভাষাকে অতিসম্প্রতি দ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃত দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৭টি সিন্থেটিক ফুটবল মাঠ তৈরী করা হয়েছে। তাছাড়াও উন্নত হকি খেলার মাঠ, ওপেন জিমনাসিয়াম, সুইমিং পুলের মতো উন্নত ক্রীড়া পরিকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলার উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ক্রীড়া প্রতিভার বিকাশে প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট স্কিমে খেলাধুলার মান উন্নয়নে ১০ জন ক্রীড়া প্রশিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৈলাসহর, বিশালগড়, মেলাঘরে মাল্টিপারপাস স্পোর্টস হল তৈরী করার পরিকল্পনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন উন্নত ক্রীড়া পরিকাঠামোর সুযোগ নিয়ে রাজ্যের ক্রীড়াবিদরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য পাবে।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, রাজ্য সরকার স্কুল কলেজের পরিকাঠামোর উন্নয়নের সাথে সাথে ক্রীড়া পরিকাঠামোর উন্নয়নেও বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস, খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা রায় (দত্ত), যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব প্রদীপ চক্রবর্তী, জেলা পুলিশ সুপার ড. রমেশ যাদব, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুব্রত মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন দেবাশিস নাথ শর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খোয়াই জেলার জেলাশাসক চাদনী চন্দ্রন। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা নৃপেন্দ্র চন্দ্র শর্মা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ হাজার টাকার চেক মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন শিক্ষিকা সুস্মিতা শীল।