Hare to Whatsapp
ধলাই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেশ কিছু পরিবার নিদারুণ দুঃখ কষ্ট,অনাহার, অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ৩০, : ধলাই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী একটা উল্লেখযোগ্য পরিবার নিদারুণ দুঃখ কষ্ট,অনাহার, অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এদের কাছে এখনও সরকারি সাহায্য সহায়তা এমনকি ত্রান ও পৌছেনি। এঁরা ক্ষুধার যন্ত্রনায় পাগলপারা অবস্হায় রয়েছেন।
ধলাই জেলা সদর আমবাসার অদূরেই হাদুকলক পাড়া। কুলাই রিজার্ভ ফরেস্টের এই জুমিয়া গ্রামে ১৮০ পরিবারের বসবাস। এঁরা সবাই জুমিয়া, যাদের জীবনে অন্তহীন সমস্যা। ডোবা বা ছড়ার অপরিশ্রুত জলে যেমন তেষ্টা মেটাতে হয় তেমনি ভুগতে হচ্ছে অন্ত্রঘটিত রোগে। সরকারী সাহায্য এখনো অনেকেই পায়নি। বিশেষ করে ৭৫টি পরিবার। অনেকেই বিপিএল পায়নি। অথচ এঁরা বিপিএল পরিবারের চেয়েও দূঃখকষ্টে দিন কাটান। অনেকের কাছে রেশনকার্ড ও নেই। রেশনকার্ড না থাকায় এঁরা সংগ্রহ করতে পারছেন না রেশন সামগ্রী।
পাড়ার চৌধুরী রাজপ্রসাদ বলছেন যাদের রেশনকার্ড নেই তাদের ভরসা এখন পাহাড়ের বাঁশ, লাকড়ী। এগুলো বিক্রি করতে নাকি এদের কাঠখড় পোড়াতে হয়। মেতে হয় টিলা টঙ্করের চড়াই উৎরাই ডিঙিয়ে। কখনো খদ্দের পাওয়া যায় আবার পাওয়াও যায়না। বিকেলে ওগুলি রেখে চলে আসতে হয় টংঘরে। ছেলেমেয়ে নিয়ে পেট মাটিতে দিয়ে রাত গুজরান করতে হয়। এটাই এদের দিনলিপি।
লকডাউন তাদের জীবন যাত্রাকে আরো বিপন্ন করে তুলেছে। কাজ করে খাবে তারো উপায় নেই। অভাব এদের বাধ্য করেছে জুম থেকে হাত গুটিয়ে নিতে।
তবে এখন এদের আশা সরকারী প্রকল্প। বীজ পাবে, টাকা পাবে, নিড়ানির অর্থ পাবে। জুম করতে পারবে।
তবে খবর হলো উদ্বেগজনক অবস্হায় রয়েছে ডঙ্কারাই,চান রোয়াজা ও টেরান পাড়া। বেশ কিছু পরিবারের রেশনকার্ড নেই। তাই জুটেনি রেশনের বিনে পয়সার চাল ও নগদ অর্থ।
এখন নাকি শুরু হয়েছে জুমিয়াদের তালিকা প্রনয়নের কাজ। সেখানে ও নাকি বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ। সরকারের তত্ত্বাবধানে তালিকা প্রনয়নের দাবী উঠতে শুরু করেছে।