Hare to Whatsapp
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলার নবজাগরণের এক প্রধান ব্যক্তিত্ব : মেয়র
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪: পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলার নবজাগরণের এক প্রধান ব্যক্তিত্ব। তাঁর কর্মধারা আমাদের দেশের নারী শিক্ষা ও বিভিন্ন সামাজিক সংস্কারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নং হলে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের রাজ্যভিত্তিক জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার একথা বলেন। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মেয়র ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবন দর্শন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, নানা রকম সামাজিক কুসংস্কার ও কুপ্রথার বিরুদ্ধে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। নারী শিক্ষার প্রসারে তার অবদান ছিল অপরিসীম। অনুষ্ঠানে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবন ও কর্মধারা নিয়ে বক্তব্য রাখেন রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, ইগনৌর আগরতলার আঞ্চলিক পরিচালক ড. অরবিন্দ মাহাতো এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমগ্র শিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা। অনুষ্ঠানে মেয়র দীপক মজুমদার সহ অতিথিগণ পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে, আজ সকালে অরুন্ধতীনগর ড্রপগেইটে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, আগরতলা পুরনিগমের কর্পোরেটর স্বপ্না সরকার, কর্পোরেটর অলক রায়, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে অতিথিগণ পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মর্মর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।