Hare to Whatsapp
বই আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পরম্পরাকে কখনও ভুলতে দেয় না : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪: বই হচ্ছে জ্ঞান অর্জনের উৎস। বই আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পরম্পরাকে কখনও ভুলতে দেয় না। ভালো বই যেমন আমাদের চেতনাকে সমৃদ্ধ করে তেমনি বর্তমান সময়ের সঙ্গে অতীত ও ভবিষ্যতের যুগপৎ সমাবেশ ঘটায়। যার ফলে মানুষ উন্মুক্ত মন দিয়ে সমসাময়িক সবকিছুকেই বিচার করতে পারে। আজকের ডিজিটাল যুগেও জ্ঞান আহরণের জন্য বইয়ের গুরুত্ব অমলিন। ২২ সেপ্টেম্বর আগরতলায় মহারাণী তুলসীবতী উচ্চতর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘দি অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের' ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান মোবাইল ও ইন্টারনেটের যুগে হাতের মুঠোয় অজস্র বইয়ের সম্ভার। প্রযুক্তির কারণে বই এখন কম্পিউটার স্ক্রিনে অনায়াসে চলে আসে। তবুও মুদ্রিত বইয়ের কদর ও চাহিদা রয়েছে। এখনও অনেকে বই কেনার জন্য উদগ্রীব থাকেন। নতুন প্রজন্মের মধ্যেও বই পড়ার শখ রয়েছে। নতুন বই পড়া এবং এর মলাট ও গন্ধ আমাদের উজ্জীবিত করে। জানার আগ্রহ ও স্পৃহা বাড়ায়। বই যতবার পড়া হয় ততবারই তার থেকে রসদ খুঁজে পাওয়া যায়। যা ইন্টারনেট মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বইয়ের দোকান থেকে বই কেনা একটা অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি হয়। বই কেনার মধ্য দিয়ে পাঠক এবং বই বিক্রেতার মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর জগদীশ গণ চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রায় ব্রাদার্সের কর্ণধার হরিদাস রায় এবং দত্ত বুক স্টলের কর্ণধার সুবোধ চন্দ্র দত্তকে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষামন্ত্রী তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। তাছাড়াও 'দি অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন' রাজ্যের বন্যা পীড়িতদের সাহায্যার্থে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ হাজার টাকা দান করেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ‘দি অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের' বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজকর্মেরও প্রশংসা করেন।