Hare to Whatsapp
রাজ্যের বন্যা কবলিত মানুষের সহায়তায় প্রশাসন দিনরাত কাজ করছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪: রাজ্যের বন্যা পীড়িত মানুষের সহায়তায় বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, কর্মচারি সহ সকলস্তরের মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা এককথায় অভাবনীয়। অন্যের বিপদে যারা এগিয়ে আসেন তাদেরকেই মানুষ মনে রাখে। রাজ্য প্রশাসন বন্যা কবলিত মানুষদের সহায়তায় দিনরাত কাজ করছে। ১৩ সেপ্টেম্বর বিলোনীয়ার পূর্ব কলাবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত মাতা কমিউনিটি হলে এক ত্রাণ বিতরণী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জিলা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাধিপতি দীপক দত্ত, ভারতচন্দ্রনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান পুতুল পাল বিশ্বাস, ভারতীয় রেডক্রস সোসাইটির রাজ্য সম্পাদক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, ভারতীয় রেডক্রস সোসাইটির স্টেট কো- অর্ডিনেটর রূপজিত দাস, ভারতীয় রেডক্রস সোসাইটির দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সম্পাদক লক্ষ্মণ মালাকার, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা স্মিতা মল প্রমুখ। ভারতীয় রেডক্রস সোসাইটির উদ্যোগে এই ত্রাণ বিতরণ এবং এক মেগা স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। এতে বন্যা পীড়িত ২০০টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আরও বলেন, বন্যায় যেসকল রাস্তাঘাট, পানীয়জলের উৎস, বিদ্যুৎ পরিষেবা, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলি সারাই করার কাজ চলছে। এই কঠিন সময়ে রাজ্যের মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য সরকারও বন্যা ত্রাণে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বন্যায় মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা, আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কে কি সাহায্য করছে তাহা বড় কথা নয়। সাহায্য করার ইচ্ছেটাকেই সম্মান করতে হবে। টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে শিশুরা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবিরটি ঘুরে দেখেন। স্বাস্থ্য শিবিরে বন্যা পীড়িত মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়।