Hare to Whatsapp
৭০ ঊর্ধ্ব প্রবীণরা এবার বিনা প্রিমিয়ামে স্বাস্থ্য বিমার আওতায়
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার (এবি পিএম-জেএওয়াই) আওতায় ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সের সমস্ত প্রবীণ নাগরিককে স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এর লক্ষ্য হল ছয় কোটি প্রবীণ নাগরিক এবং প্রায় ৪.৫ কোটি পরিবারকে পরিবারের ভিত্তিতে ৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে স্বাস্থ্য বীমা কভার দিয়ে উপকৃত করা। এই অনুমোদনের ভিত্তিতে, ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সের সমস্ত প্রবীণ নাগরিক, তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে, “এবি পিএম-জেএওয়াই” এর সুবিধা গ্রহণের যোগ্য হবেন। যোগ্য প্রবীণ নাগরিকদের “এবি পিএম-জেএওয়াই ”-এর অধীনে একটি নতুন পৃথক কার্ড দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে “এবি পিএম-জেএওয়াই”-এর আওতায়
থাকা পরিবারের ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রবীণ নাগরিকরা নিজের জন্য বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত “টপ-আপ কভারেজ” পাবেন যা তাদের ৭০ বছরের কম বয়সি পরিবারের সদস্যদের সাথে ভাগ করতে হবে না। ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকরা যারা : ইতিমধ্যে “সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেল্থ (সিজিএইচএস) স্কিম” ”এক্স সার্ভিসম্যান কন্টিবিউটরি হেলথ স্কিম” (ইসিএইচএস) “আয়ুষ্মান সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স” (সিএপিএফ) এর মতো অন্যান্য জনস্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন তারা তাদের বিদ্যমান প্রকল্পটি বেছে নিতে পারেন বা “এবি পিএমজেএওয়াই” বেছে নিতে পারেন। এতে আরও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রবীণ নাগরিকরা যারা “বেসরকারি সেক্টর স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প " বা “কর্মচারী রাজ্য বীমা প্রকল্প” এর আওতায় রয়েছেন তারাও “এবি পিএম-জেএওয়াই” এর আওতায় সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবেন। এবি পিএমজেএওয়াই হল বিশ্বের বৃহত্তম সরকারি আর্থিক সহায়তার স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প যা “ মাধ্যমিক ”এবং “তৃতীয় ” কেয়ার হাসপাতালে ভর্তির জন্য ১২.৩৪ কোটি পরিবারের ৫৫ কোটি ব্যক্তিকে প্রতি বছর পরিবার প্রতি ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমা দিচ্ছে। বয়স নির্বিশেষে পরিবারের সমস্ত যোগ্য সদস্য এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। এই প্রকল্পে ৪৯ শতাংশ মহিলা সুবিধাভোগী সহ ৭.৩৭ কোটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি সুবিধা হয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য বীমার আওতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। “এবি পিএমজেএওয়াই” • প্রকল্পে, সুবিধাভোগীদের সংখ্যা ক্রমাগত প্রসারিত হতে দেখা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে, ভারতের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ নিয়ে ১০.৭৪ কোটি দরিদ্র ও দুর্বল পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় ছিল। পরবর্তীকালে, ভারত সরকার ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ২০১১ সালের জনগণনা - কোটি থেকে ১২ কোটি পরিবার সাপেক্ষে জনসংখ্যার তুলনায় ভারতের ”দশকীয় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার” ১১.৭ বিবেচনা করে ”এবি পিএম-জেএওয়াই” এর আওতায় সুবিধাভোগীদের সংখ্যা ১০.৭৪ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংশোধনী দেয়। এই প্রকল্পটি সারা দেশে কর্মরত ৩৭ লক্ষ আশা/এ. ডব্লিউ. ডব্লিউ/এ. ডব্লিউ. এইচ-কে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে, ”এবি পিএম-জেএওয়াই” এখন সারা দেশে ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সের সমস্ত নাগরিককে ৫ লক্ষ টাকার বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে । কিন্তু সমস্যা হল বয়স্কদের নতুন করে স্বাস্হ্য বীমার আওতায় আনতে তাদের কার্ড প্রদানের নামে নতুন করে টানা হ্যাঁচড়া করার কি প্রয়োজন আছে এটা বোঝা গেল না। বয়স্কদের ভাতা থেকে পেনশন যখনই কোন সামাজিক সুবিধা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয় তখন দেখা যায় তাদের বয়সের প্রমাণ থেকে শারীরিক সক্ষমতা সব বিষয়ে প্রমাণ দিতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের এসবের জন্য সরকারী অফিস কিংবা এজি অফিসে যেতে হয়। বার্ধক্যের দুরগোড়ায় এসে বৃদ্ধ বয়সে একটা সরকারী সুবিধা পেলে সব বৃদ্ধরাই খুশি হন। কিন্তু সুবিধা প্রদানের নামে এসব শর্ত জুড়ে দেয়ার ঘটনায় বিষ্ময় জাগে। তাই সরকারী সুবিধা প্রদানের নামে বৃদ্ধদের নিয়ে এই টানা হ্যাঁচড়া বন্ধ হলে ভালো।