Hare to Whatsapp

দিনমজুর অনুপ ঘোষের কন্যার চিকিৎসায় উদ্যোগ নিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪: সমস্যা পীড়িত জনগণের সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচির ৩১তম পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সমস্যা পীড়িত মানুষ ১১ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার সরকারি বাসভবনে এসে তাদের নানাবিধ সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই এসেছেন চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তার আর্জি নিয়ে।সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী তৎক্ষনাৎ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রদানের নির্দেশ দেন।

আজ মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে পূর্ব প্রতাপগড়ের অনুপ ঘোষ তার দুই বছরের শিশুকন্যার চিকিৎসা সংক্রান্ত আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তার মেয়ে জন্মের পর থেকে পিওর রেড সেল অ্যাপলেসিয়া (পিআরসিএ) সংক্রান্ত রোগে ভুগছে। পেশায় দিনমজুর অনুপ ঘোষ তার মেয়ের চিকিৎসার খরচ মেটাতে ও সংসার চালাতে খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তার আর্জি জানান।মুখ্যমন্ত্রী অনুপ ঘোষের মেয়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখে সঙ্গে সঙ্গেই জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ শঙ্কর চক্রবর্তীকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন।পাশাপাশি সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে অনুপ ঘোষকে কিভাবে সহায়তা করা যেতে পারে সে বিষয়টি দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের ডেপুটি কমিশনার অচিন্ত্য কিলিকদারকে নির্দেশ দেন।

ধলাই জেলার গন্ডাছড়ার চন্দন মজুমদার তার স্ত্রীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তার আর্জি নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। চন্দন মজুমদারের স্ত্রী গত দেড় বছর ধরে ব্রেস্ট ক্যান্সারে ভুগছেন। পেশায় পত্রিকা হকার চন্দন মজুমদার আর্থিক অস্বচ্ছলতার দরুণ তার স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ ও সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন।এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আজ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসেছিলেন প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আর্জি নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী চন্দন মজুমদারের স্ত্রীর চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সঙ্গে সঙ্গেই অটল বিহারী রিজিওন্যাল ক্যান্সার সেন্টারের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ এস দেববর্মাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

আজ মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে পূর্ব যোগেন্দ্রনগরের ৮০ শতাংশ দিব্যাঙ্গ যুবক প্রসেনজিৎ দাস তার চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তার আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।প্রসেনজিৎ দাস বর্তমানে তার ডান পায়ে এলিফ্যানটিয়াসিস লিমফেডিমা (Elephantiasis Lymphedema) সংক্রান্ত জটিল রোগে ভুগছেন।

আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সে তার সঠিক চিকিৎসাও করাতে পারছেন না।সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আর্থিক সহায়তা প্রদানের আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।মুখ্যমন্ত্রী প্রসেনজিৎ দাসের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখে সঙ্গে সঙ্গেই জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ শঙ্কর চক্রবর্তীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

অভয়নগরের রুবি দেববর্মা তার চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তার আর্জি নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষুতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।রুবি দেববর্মা বিগত কয়েক বছর ধরে লিভারে টিউমার জনিত সমস্যায় ভুগছেন।চিকিৎসকগণ রুবি দেববর্মাকে অতি শীঘ্র অপারেশন করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য সে তার চিকিৎসাও সঠিকভাবে করাতে পারছেন না। এই অবস্থায় রুবি দেববর্মা তার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা পেতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন।মুখ্যমন্ত্রী রুবি দেববর্মার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সঙ্গে সঙ্গেই অটল বিহারী রিজিওন্যাল ক্যান্সার সেন্টারের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ এস দেববর্মাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তাছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আসা কবিরাজ টিলার সুব্রত দাস,চন্দ্রপুরের চন্দ্রিমা নন্দী মজুমদার,বনমালীপুরের মিতা সাহা, এস ডি ও চৌমুহনীর ঝুমুর সাহার মতো অনেকেই পেয়েছেন চিকিৎসায় সহায়তার আশ্বাস।চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার সুরাহা করে দেওয়ার পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী জমি সহ আইনী সংক্রান্ত বিষয় নিষ্পত্তিরও বিষয়েও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড: প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের ডেপুটি কমিশনার অচিন্ত্য কিলিকদার, জিবি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ শঙ্কর চক্রবর্তী, অটল বিহারী রিজিওন্যাল ক্যান্সার সেন্টারের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ এস দেববর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.