Hare to Whatsapp
আগরতলা-সাব্রুম ডেমু লোকাল ট্রেন পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত ট্রেন পরিষেবা চালু রয়েছে : পরিবহণ দপ্তরের সচিব সি কে জমাতিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ২৯, ২০২৪: বন্যা পরিস্থিতির পর রাজ্যে বিমান, সড়ক ও রেলওয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে পরিবহণ দপ্তরের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের কারণে গত ২১ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত লোকাল ও বিশেষ ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। ২৮ আগস্ট সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ দপ্তরের সচিব সি কে জমাতিয়া একথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, বর্তমানে আগরতলা-সাব্রুম ডেমু লোকাল ট্রেন পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত ট্রেন পরিষেবা চালু রয়েছে। আগরতলা-সাব্রুম রেল পরিষেবা পুনরায় চালু করার জন্য দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। আগামী দু'একদিনের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা চালু করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। শান্তিবাজার-গর্জি রেল লাইনের মধ্যে ৩-৪টি জায়গায় রেল ট্র্যাকের ক্ষতি হয়েছে। রেলওয়ের প্রকৌশলীরা তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছেন। অতিসত্ত্বর মেরামতের কাজ শেষ করা যাবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ সচিব আশা প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ সচিব আরও জানান, ধর্মনগর, কুমারঘাট ও জিরানীয়া রেল স্টেশনে রেলে নিয়মিত রেক আসছে। এই রেকগুলিতে প্রতিদিন খাদ্যশস্য, সিমেন্ট, রড, পেট্রোলিয়াম জ্বালানি দ্রব্য সহ বিভিন্ন পণ্য নিয়মিত রাজ্যে আসছে। তাই, অহেতুক ভয়ের কোনও কারণ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এবং জ্বালানি রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে। রাজ্যে সমস্ত বিমান পরিষেবা অপরিবর্তিত রয়েছে। আগরতলা বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন ৩০টি বিমান উঠানামা করছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে শুধুমাত্র গত ২১ আগস্ট কলকাতা থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া বিমান ইন্ডিগো এটিআর ৭২ বিমানটি অবতরণ করতে পারেনি।
পরিবহণ সচিব জানান, উদয়পুর রেল স্টেশনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং স্টেশন কর্তৃপক্ষ ২২ আগস্ট থেকে তাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী দিচ্ছে। পাশাপাশি জোলাইবাড়ি রেলস্টেশনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী।