Hare to Whatsapp
বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিবের নেতৃত্বে আন্তঃ মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল : রাজস্ব সচিব ব্রিজেশ পান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ২৯, ২০২৪: বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ২৮ আগস্ট বিকাল পর্যন্ত রাজ্যে ৩৬৯টি শরনার্থী শিবিরে ৫৩,৩৫৬ জন মানুষ আশ্রিত রয়েছেন। তাদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানীয়জল এবং স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যে ৩১ জন বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন এবং ২ জন আহত ও ১ জন নিখোজ রয়েছেন। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব সচিব ব্রিজেশ পান্ডে একথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব সচিব জানান, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বি সি জোশীর নেতৃত্বে আন্ত: মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (আইএমসিটি) আজ বিকালে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। এই দলে কৃষি, অর্থ, পরিবহণ, জলসম্পদ এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকগণ রয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব জানান, মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার সভাপতিত্বে গতকাল রাজ্যের সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এখনও যারা ত্রাণ শিবিরগুলিতে রয়েছেন তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানীয়জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা অব্যাহত রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসকগণদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, সোনামুড়ায় গোমতী নদীর জলস্তর বিপদসীমার নিচে দিয়ে বইছে। রাজ্যে নগর এলাকাগুলির বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, মোট ৩২ হাজার মানুষকে সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করা হয়। আগরতলা শহরের পানীয়জলের উৎস তিনটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ১১টি ডিপ টিউবওয়ালকে সংস্কার করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে যেখানে জলের অভাব রয়েছে সেখানে জল পৌছানোর জন্য ৯টি ওয়াটার ট্যাস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিক মূল্যায়ণের মাধ্যমে দেখা গেছে রাজ্যের নগর এলাকাগুলিতে বন্যার জন্য ৩০৬ কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং জলবাহিত রোগ যাতে না হয় তার জন্য সুরক্ষা কর্মসূচি হিসেবে শৌচালয়গুলির নিয়মমাফিক পরিস্কার, জীবানুনাশক ঔষধ স্প্রে ও ব্লিচিং এর ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ত্রাণ শিবিরগুলিতে চিকিৎসকগণ ১,১০৭ বার পরিদর্শন করে ৪৪৭ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। এছাড়াও ১,৬৫০টি স্বাস্থ্য শিবিরে ৪৫ হাজারের উপর মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। জীবানুনাশক এবং ডায়ারিয়া প্রতিরোধে স্বাস্থ্য দপ্তর ২ লক্ষ ওআরএস প্যাকেট, ২০ লক্ষ হ্যালোজেন ট্যাবলেট, ১০ লক্ষ জিঙ্ক ট্যাবলেট সহ জ্বরের ঔষধ, স্কিন লোশন ক্রয় করবে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব তমাল মজুমদার, ত্রাণ, পুনর্বাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের অধিকর্তা জে ভি দোয়াতি প্রমুখ।