Hare to Whatsapp
কেন্দ্রীয় আন্তমন্ত্রকের একটি দলকে ত্রিপুরায় প্রেরণ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ২৭, ২০২৪: রাজ্যে সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ণ, পুনর্বাসন ও অতিরিক্ত সহায়তার জন্য রাজ্য সরকার একটি অগ্রিম কেন্দ্রীয় আন্ত:মন্ত্রকের একটি দলকে রাজ্যে পাঠানোর অনুরোধ করেছে। যাতে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষিতির মূল্যায়ণ ও পুননির্মাণের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা চেয়ে স্মারকলিপি পাঠাতে পারে। ২৬ আগস্ট সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে একথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, রাজ্যের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে ও ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ণের কাজও শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যের পানিসাগরে সর্বোচ্চ ৩৮ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে সোনামুড়ায় গোমতী নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপরে রয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের সচিব আরও জানান, রাজ্যের গোমতী ও সিপাহীজলা জেলায় এখন ৩টি স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স ও ৫টি ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স ত্রাণ সরবরাহ ও উদ্ধার কাজে নিযুক্ত রয়েছে। তাছাড়াও রাজ্যে ৫০০ জনের বেশী সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবক ও আপদামিত্র ত্রাণ কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। তিনি জানান, রাজ্যে এখন ৪৭১টি ত্রাণ শিবির চালু রয়েছে। এই ত্রাণ শিবিরগুলিতে ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয়ে রয়েছেন। ত্রাণ শিবিরগুলিতে খাদ্য, পানীয়জল, চিকিৎসা সহায়তা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ত্রাণ শিবিরে খাদ্য, পানীয়জল, চিকিৎসা সহায়তা সহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অমরপুর ও করবুক মহকুমায় প্রায় ১৫০ জনের মত দুস্থ মানুষের মধ্যে কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। রাজ্যে বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, ২ জন আহত ও ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের সচিব জানান, এখন পর্যন্ত প্রাথমিক রিপোর্টে দেখাগেছে বন্যায় সড়ক, বিল্ডিং, বিদ্যুতের লাইন, নদীর বাঁধ, কৃষি ফসল, বাড়ি ঘর ও গবাদি প্রাণী সহ বিভিন্ন পরিকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (ডিডিএমএ) নেতৃত্বে জেলাশাসক ও সমাহর্তাদের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত মূল্যায়ণের জন্য বলা হয়েছে। এই মূল্যায়ণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তিনি জানান, রাজ্য সরকার বিভিন্ন দপ্তর ও কেন্দ্রীয় সংস্থার সাথে নিবিড় সমন্বয়ের মাধ্যমে নাগরিকদের উপর থেকে দুর্যোগের প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য নিয়ন্তর কাজ করছে। রাজস্ব দপ্তরের সচিব জানান, ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) পূর্বাভাস অনুযায়ী দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় আজ ও আগামীকাল কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রাণ, পুনর্বাসন ও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের অধিকর্তা জেভি দোয়াতি ও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা শরত দাস উপস্থিত ছিলেন।