Hare to Whatsapp
বন্যায় রাজ্যে ২০১টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত : বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ২৬, ২০২৪: রাজ্যে সাম্প্রতিক বন্যায় শিক্ষা দপ্তরের প্রায় ১১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে অমরপুর এবং দক্ষিণ জেলা থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান পাওয়া যায়নি। ২৫ আগস্ট মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা এই সংবাদ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ২০৯টি স্কুল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ১০টি, সিপাহীজলায় ৩৮টি, গোমতী জেলায় ৪৩টি, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৬২টি, খোয়াই জেলায় ১২টি, ধলাই জেলায় ২২টি, ঊনকোটি জেলায় ১৮টি এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৪টি স্কুল রয়েছে। তাছাড়া সাতচাঁদ ব্লকের জগত্রাম পাড়া এসবি স্কুল এবং ভারতচন্দ্র নগর ব্লকের বনন্তপাড়া জেবি স্কুল ভূমিধসের ফলে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা জানান, বন্যায় রাজ্যের ২৩৯টি স্কুলে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীর বইপত্র নষ্ট হয়েছে। কিছু কিছু স্কুলে এখনো ত্রাণ শিবির চালু রয়েছে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপরই পুনরায় স্কুল খোলার বিষয়টি জানানো হবে। তবে বন্যা কবলিত এলাকার স্কুলগুলিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত করার পরেই স্কুলগুলি খোলা হবে। এসসিআরটি'র অধিকর্তা এল দারলং জানান, বন্যায় যে সমস্ত পড়ুয়াদের বই পত্র নষ্ট হয়েছে তাদের জন্য আগামীকাল থেকে বই পাঠানো শুরু হবে। পর্যাপ্ত বই এসসিইআরটি-তে রয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা জানান, গত ২২ তারিখ থেকে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারী ডিগ্রী কলেজ ও কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। আইনের প্রবেশিকা পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার পরীক্ষা স্থগিত রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে। অতি বৃস্টির কারণে বিলোনীয়ার ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর কলেজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোহনপুরের স্বামী বিবেকানন্দ কলেজের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বগাফা পাবলিক লাইব্রেরির আসবাব এবং প্রায় ৭ হাজার বই মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে। ধর্মনগর সরকারী ডিগ্রী কলেজে ও কৈলাশহরে রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।