Hare to Whatsapp
আকস্মিক বন্যায় ১৯৫,১৮৪ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত : কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ২৬, ২০২৪: রাজ্যে গত ১৯ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যায় ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯৮৪ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির যে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে তাতে বিশেষ করে আউশ ও আমন ধান এবং সব্জীর প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ৮৯ হাজার ৫৫৭.৫৯ হেক্টর জমি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আনুমানিক ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭৯৩.৭৫ মেট্রিকটন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১০১৭ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। ২৫ আগস্ট সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় এই সংবাদ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব আরও জানান, রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মচারীগণ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করে গ্রাম, ব্লক ও জেলাস্তরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নামের তালিকা, ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমান ও ফসলের ক্ষতির শতাংশের হিসাব নিরূপন করার কাজ করছেন। এজন্য রাজ্যস্তর থেকে প্রতিটি কৃষি মহকুমা ভিত্তিক নোডাল অফিসার এবং জেলাস্তরে প্রভারী অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে, যাতে দ্রুততার সাথে এসডিআরএফ/এনডিআরএফ-এর নির্দেশিকা অনুসারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করা যায়।
সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব জানান, বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পরে দেখা গেছে অনেক জমিতে বৃষ্টির জলের সঙ্গে বয়ে আসা পলি মাটি, বালি ও নুড়ি পাথর জমে যাওয়ার ফলে ফসল এবং জমি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। রাজ্যের ৩৯৭টি সরকারী কৃষি বীজাগারের মজুদ বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক ও জৈব সারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া সেচের মেশিনগুলি ও কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব জানান, উদ্ভূত বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে দপ্তর থেকে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের চূড়ান্ত তালিকা দ্রুত নিরূপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সম্ভাব্য রোগ পোকার হাত থেকে ফসলকে রক্ষা করার জন্য কৃষকদের আগাম ছত্রাকনাশক বা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজনভিত্তিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বীজতলার অবশিষ্ট ধানের চারা দিয়ে নতুনভাবে রোপনে কৃষকদের সহযোগিতা করা ও প্রাক-শীতকালীন সব্জী বীজের দ্রুত যোগানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে ন্যাশনেল সিড কর্পোরেশনের সহায়তা নেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত জমি পুনরুদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া হবে। সচিব আরও জানান, এই দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির মোকাবিলায় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর অন্নদাতাদের পাশে থাকবে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিকটবর্তী কৃষি অফিস, উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ অফিস অথবা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।