Hare to Whatsapp
ত্রিপুরাকে আদর্শ রাজ্যরূপে গড়ে তোলার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ১৪, ২০২৪: ত্রিপুরাকে আদর্শ রাজ্যরূপে গড়ে তোলার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের উন্নয়ন ও জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণ করা হচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে এক সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। ১৩ আগস্ট আগরতলায় উমাকান্ত একাডেমি প্রাঙ্গণে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর আয়োজিত ‘হর ঘর তিরঙ্গা' অভিযানের রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। ত্রিবর্ণ রঞ্জিত বেলুন উড়িয়ে এবং সুসজ্জিত ভারতমাতার হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে সারা দেশের সাথে রাজ্যেও ২০২২ সালে প্রথমবার ‘হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচি পালন করা হয়। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর জন্য এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এবারও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ‘হর ঘর তিরঙ্গা' অভিযানে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বিদ্যালয়, সামাজিক সংগঠন, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে জাতীয় পতাকা নিয়ে আজ সকালে তিরঙ্গা র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমায় ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস’ এই দৃষ্টিভঙ্গিকে পাথেয় করে রাজ্যকে সামনের সারিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য সরকার সচেষ্ট। জাতি, জনজাতি সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সম্পর্কের মেলবন্ধন আরও সুদৃঢ় করতে সরকার সচেষ্ট। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গ্রামোন্নয়ন, ক্রীড়া সহ বিভিন্ন দপ্তরের জনস্বার্থে রূপায়য়িত উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ত্রিপুরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসিত হয়েছে। সম্প্রতি নীতি আয়োগের বৈঠক এবং মুখ্যমন্ত্রীদের কনক্লেভেও ত্রিপুরা প্রশংসা লাভ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বর্তমানে ৬টি জাতীয় সড়ক করা হয়েছে। যেখানে আগে মাত্র ১টি ছিল। আরও ৪টি জাতীয় সড়ক নির্মানের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যটনেও রাজ্যে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। রাজ্যে পর্যটকদের সংখ্যাও বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার ত্রিপুরাকে ড্রাগ মুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ড্রাগ মুক্ত রাজ্য গঠনে রাজ্য সরকারের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে ছাত্রছাত্রী সহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মধ্যশিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা। অনুষ্ঠানে ‘হর ঘর তিরঙ্গা' সেলফি পয়েন্টে ছবি তুলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিশ্রামগঞ্জের সেন্ট জেভিয়ার্স ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ব্যান্ড প্রদর্শন করে।