Hare to Whatsapp
বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে মাটির নীচে দিয়ে ক্যাবল লাইন সম্প্রসারনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ৭, ২০২৪: রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে মাটির নীচে দিয়ে ক্যাবল লাইন সম্প্রসারনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানী আগরতলায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে। ৬ আগস্ট আগরতলার ৭৯ টিলাস্থিত বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের সামগ্রিক যোগান ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিশদভাবে অবহিত হন এবং তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন।
স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারটি প্রতিনিয়ত রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন ও বিতরণকারী সংস্থার উপর নজরদারির মাধ্যমে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সুনিশ্চিত করছে। সাইবার সুরক্ষার নিয়মাবলীগুলি পূরণ করায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারকে আইএসও সার্টিফিকেট প্রদান করেছে। যা রাজ্যের জন্য উল্লেখযোগ্য বিষয়। তিনি বলেন, ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একমাত্র রাজ্য যেখানে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে সরকার নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে যেসব জায়গায় পুরাতন বিদ্যুৎ পরিবাহী তার রয়েছে তা পরিবর্তনের জন্যও সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বিকল্প শক্তি হিসাবে সৌরশক্তির ব্যবহারেও উৎসাহিত করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বিদ্যুৎ কর্মীদের উপর আক্রমনের ঘটনা ঘটছে, যা কোনভাবেই কাঙ্খিত নয়।
মুখ্যমন্ত্রীর স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার পরিদর্শনের সময় বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত সংস্থা ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের অধীনে ৫টি রিজিওন্যাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার রয়েছে। রাজ্যের স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারটি রিজিওন্যাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করছে। রাজ্যে গুণগত, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুনিশ্চিত করার জন্য রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন ও বিতরণকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয়কারী সংস্থা হিসাবে স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারটি কাজ করছে। এছাড়াও পরিদর্শনকালে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশ্বজিত বসু উপস্থিত ছিলেন। আলোচনাকালে ত্রিপুরা পাওয়ার ট্রান্সমিশন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার রঞ্জন দেববর্মা স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের কাজকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন।