Hare to Whatsapp
বিদেশ সম্পর্ক অনুষ্ঠান : আগরতলায় সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ৩০, ২০২৪: আগরতলার রাজ্য অতিথিশালায় ২৯ জুলাই ‘বিদেশ সম্পর্ক অনুষ্ঠান' শীর্ষক এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর বিদেশ মন্ত্রকের সহযোগিতায় প্রথমবারের মত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আলোচনা শুরু করে বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (ডায়াসপোরা এনগেজমেন্ট) অঙ্কন ব্যানার্জি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের প্রশাসনের সাথে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রককে একই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। বিদেশে বসবাসরত, কর্মরত এবং শিক্ষার জন্য যাওয়া ভারতীয়দের প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান, কনস্যুলার পরিষেবা ও অনুপ্রবেশ রুখতে রাজ্য সরকারকে সহায়তা করতে এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর ফলে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক ও রাজ্য সরকার উভয়ই তাদের দায়িত্ব, করণীয়, সঠিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অবগত হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিদেশে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ভারতীয় রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। এছাড়াও তিনি কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক প্রবাসী ভারতীয়, বিদেশে কর্মরত ও শিক্ষার সুযোগ নিতে যাওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কিভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে, কিভাবে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে রিজিওন্যাল পাসপোর্ট অফিসার আশিষ মিদ্দা বলেন, আরপিও কলকাতার আওতায় পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, সিকিম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে। আগরতলায় পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র এবং ধর্মনগরে পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিদিন আগরতলায় ২৭০ জন এবং ধর্মনগরে ৪০ জন পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীর সাক্ষাৎ নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিব অঙ্কন ব্যানার্জি বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণরূপে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে সচেষ্ট। এক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে এক জোট হয়ে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী রাজ্যে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, বিদেশে মৃত রাজ্যবাসীর দেহ আনা সহ আরও কিছু সমস্যা নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিদের অবগত করেন। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন ডিজিপি (ইন্টিলিজেন্স) অনুরাগ। অনুষ্ঠানে বিদেশ মন্ত্রকের অবর সচিব রুসাল গর্গ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ এবং অসুবিধা, শ্রমিক কল্যাণ নিয়ে অধিকর্তা (ইপি এন্ড ডাব্লু) নিতেশ কুমার, সুরক্ষিত এবং বৈধ অভিবাসন নিয়ে প্রোটেক্টর অব ইমিগ্রেন্টস তনয়া দে আলোচনা করেন। এই অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মা, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সচিব, অধিকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।