Hare to Whatsapp
পরম্পরাগত সংস্কৃতির বহমান ধারাকে পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলেই সমাজ সমৃদ্ধ হবে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ১৫, ২০২৪: ভারতবর্ষের কৃষ্টি-সংস্কৃতি প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। পরম্পরাগত এই কৃষ্টি ও সংস্কৃতি আমাদের ঐতিহ্য। ঐতিহ্যের এই বহমান ধারাকে পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলেই আরও সমৃদ্ধ হবে আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি। ১৪ জুলাই পুরাতন আগরতলাস্থিত চতুর্দশ দেবতা মন্দির প্রাঙ্গণে ৭দিনব্যাপী খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চতুর্দশ দেবতাবাড়ির খার্চি উৎসবে রাজ্যের জাতি-জনজাতি সহ সকল অংশের মানুষ সমবেত হন। রাজ্যের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন এই উৎসবের জন্য। জাতি-জনজাতি নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষের মেলবন্ধন ঘটে এই উৎসবে। সৌভ্রাতৃত্ব ও ঐতিহ্যের সেতু বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়। তিনি বলেন, এবারের খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনীর সূচনা রবিবার ছুটির দিনে শুরু হওয়ার কারণে উৎসবের শেষ দিন অর্থাৎ ২০ জুলাই, ২০২৪ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পূন্যার্থীরা যাতে খার্চি মেলাকে ভালোভাবে উপভোগ করতে পারেন তার জন্যই এই উদ্যোগ। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনীর মূল ভাবনা হচ্ছে ‘সবুজই ভবিষ্যৎ’ যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক। প্রসঙ্গক্রমে তিনি সম্প্রতি রাজ্যে একটি কর্মসূচিতে ৫ মিনিটে ৫ লক্ষ গাছ রোপণ করার বিষয়টির কথা উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজন্য আমলে রাজারা প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা ও পুজা করতেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে খার্চি উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক রতন চক্রবর্তী বলেন, রূপে, বর্ণে, বৈচিত্রে ভরপুর এই খার্চি মেলা এক অনন্য মেলা হিসেবে পরিগনিত হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তর সহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই মেলাকে সফল করে তোলা সম্ভব হয়। খাৰ্চি উৎসবের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি খার্চি উৎসব ও মেলার পবিত্রতা, শৃঙ্খলা ও মেলাকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া। ৭ দিনব্যাপী খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়ক দীপক মজুমদার, পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ শীল, সমাজসেবী অমিত কুমার নন্দী প্রমুখ।