Hare to Whatsapp
চিকিৎসার নামে সাধারন্যে অন্তহীন বিড়ম্বনা, প্রতিকার নিস্ফলা
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ২৪, : রাজ্যে স্বাস্হ্য পরিষেবা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকারী হাসপাতাল চালু থাকলেও ওখানে সাধারণ মানুষ সহজে যেতেই চাইছেন না। এক্ষেত্রে নানা সমস্যায় পড়তেই হচ্ছে। যদিও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি শুধু এরাজ্যেই নয়, প্রায় সবখানেই ভোগান্তি পোহাতে হয়।
রাজ্য সরকার আগরতলায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবার দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে ঘোষনা করেছে যে আইএলএস এবং টিএমসি -এর ওপিডিতে বিনে পয়সায় রোগী দেখানো যাবে। কিন্তু ওই দুই হাসপাতালে যাওয়া আসাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। লকডাউনের ফলে গাড়ীঘোড়া চলাচল করেই না বলা চলে। অতিকষ্টে টিএমসি-তে গেলে আসার সময় বিড়ম্বনা আরো অনেক বেড়ে যায়। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় গাড়ীর জন্য। কিন্তু গাড়ী পাবে কোথায়? গাড়ী যে চলাচল করে না। রোগীদের বিড়ম্বনার বারমাস্যা এখানেই শেষ নয়, নানা পরীক্ষার জন্য ওদের আবার আসতে হয় আইজিএম এ। সেখানে দীর্ঘ লাইন। এটা স্বাভাবিক। কারন সেখানে তো সকাল থেকেই লাইন পড়ে যায়। আইএল এস হাসপাতালে দেখালেও একই অবস্হা। ফের আস্তে হয় আইজিএমে। পরদিন দেওয়া হয় পরীক্ষার রিপোর্ট। এর পরদিন আবার যাও ওই হাসপাতালে। রিপোর্ট দেখালে লেখা হয় ব্যবস্হাপত্র। মানে একজন রোগীর প্রেসক্রিপশন পেতেই ৪ দিন গড়িয়ে যায়। ততক্ষণে তো রোগ আরো বেড়েই যায়।এটাই স্বাভাবিক। অভিযোগ আইএলএস হাসপাতালে রোগী দেখতেই শুরু হয় নয়টায়। তারপর আবার পরীক্ষা আইজিএমে। এজিএমসিতে অনেকেই যেতে চায়না সংক্রমনের ভয়ে। এই চক্করে পড়ে এখন অধিকাংশ রোগী চলে যায় আইজিএমে। তাই সেখানে ভীড় বাড়ছেই। এই অবস্থায় চিকিৎসা বিড়ম্বনা বাড়ছেই। সরকার এই বাস্তবতা মাথায়ই রাখেনি।
এদিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে তো আরো সমস্যা। ৯৫ শতাংশ চিকিৎসকদের চেম্বার বন্ধ। চেম্বারের সামনে সাঁটা থাকছে ৩রা মে পর্যন্ত যে রোগী দেখা হবে না। যে কজন রোগী দেখছেন তারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে পারছেন না। ওগুলির সামনেও সেই একই ঘোষনা ৩ রা মে পর্যন্ত বন্ধ। বুঝুন ঠ্যালা,এবার যাবেন কোথায়। খোদ রাজধানী আগরতলায় যেখানে এই চিত্র সেখানে মহকুমা, জেলা সদরগুলির অবস্হা আরো উদ্বেগজনক। কাগজে কলমে সরকারী ঘোষনায় তো বিলকুল সব ঠিক হ্যায় হলে কি হবে বাস্তব তো অন্য কথা বলছে।
সরকারী ঘোষনা মোতাবেক রাজ্য করোনা মুক্ত হলে কি হবে, সুগার, জ্বর, সর্দি, কাশি, দাঁত, চোখের রোগীদের তো এখন সর্বনাশ। করোনা নিয়ন্ত্রণের নামে যুদ্ধকালীন তৎপরতা অব্যাহত থাকলে কি হবে অন্যান্য ক্ষেত্র তো সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। এ তো নুতন সমস্যা ডেকে আনছে। মনে রাখা দরকার এখন কিন্তু ম্যালেরিয়া,আন্ত্রিকের সময়। অন্তত ইতিহাস তাই বলে।