Hare to Whatsapp
শিক্ষা হল সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ৩, ২০২৪: শিক্ষা হল সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। রাজ্যে গুণগত শিক্ষার প্রসার ও শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। ২ জুলাই উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগরের জলেবাসায় নবনির্মিত ডিস্ট্রিক্ট ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ট্রেনিং (ডায়েট) কলেজের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষা ব্যবস্থাকে কিভাবে আরও উন্নত করা যায় এই বিষয়ে শিক্ষাবিদদের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী চিন্তাধারায় শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হয়েছে। এই জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে দেশের সমাজ ব্যবস্থা, পরম্পরা ও সংস্কৃতিকে সামনে রেখে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই জাতীয় শিক্ষা নীতি সার্বিকভাবে রূপায়ণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এদিন পানিসাগর সফরে এসে পানিসাগর দ্বাদশশেণী বিদ্যালয়ে নবনির্মিত দ্বিতল ভবনেরও উদ্বোধন করেন। ডায়েট কলেজ ও পানিসাগর দ্বাদশশেণী বিদ্যালয়ের নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে ডায়েট কলেজ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুববিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধায়ক বিনয়ভূষণ দাস, বিধায়ক যাদবলাল নাথ, উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার, উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা নৃপেন্দ্র চন্দ্র শর্মা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পানিসাগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাস। উল্লেখ্য, নবনির্মিত এই ডায়েট কলেজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। বিদ্যাজ্যোতি প্ৰকল্প ও সর্বশিক্ষা অভিযানের অধীনে এই বিদ্যালয়ের নবনির্মিত দ্বিতল ভবন নির্মাণে ৩ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষা খাতে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বেশী। ভারতের ১৪,৫০০টি বিদ্যালয়কে পিএমশ্রী বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আগামী ৫ বছরে এই বিদ্যালয়গুলির জন্য ২৭ হাজার ৩৬০ কোটি ব্যয় করা হবে। ‘বিদ্যা প্রবেশ” নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে যাতে শিশুদের খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলা যায়। ডিজিট্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর নলেজ শেয়ারিং চালু রয়েছে। 'উল্লাস' নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ১৫ বছর বা তার বেশী বয়সের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যারা শিক্ষার আলো থেকে দূরে রয়েছে তাদেরকে শিক্ষার অঙ্গণে নিয়ে আসা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গুণগত শিক্ষার প্রসার ও পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের ভাল ফলাফলের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে ডায়েট কলেজের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।