Hare to Whatsapp
রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে রাজ্যের অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের বিকাশে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে : শিল্পমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ২৮, ২০২৪: রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে রাজ্যের অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের বিকাশে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশ ও জনসাধারণকে স্বনির্ভর করে তোলা। ২৭ জুন হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হলের অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ দিবস অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পসমূহের সঠিক ও বিস্তৃত তথ্য সম্পর্কে এ সমস্ত শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করে তোলা হচ্ছে। এ সমস্ত শিল্পের সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাগুলি কাজে লাগাতে পারলে শিল্প বিকাশে সহায়ক হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের উদ্যোগে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের রাজ্যস্থিত ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন সেন্টারের সহায়তায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর সারা বিশ্বে ২৭ জুন আন্তর্জাতিক অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারাই রাজ্যে শিল্পের বিকাশে এগিয়ে আসবেন তাদের পাশে সরকার থাকবে। উল্লেখ্য, রাজ্যে জুন, ২০২৪ পর্যন্ত এমএসএমই-র উদ্যম প্রকল্পে ৫৮,৭৪৩টি শিল্প সংস্থা নথিভুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে ৫৭,৭২৫টি অতি ক্ষুদ্র, ৯৪৯টি ক্ষুদ্র এবং ৬৯টি মাঝারি শিল্প হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে প্রায় ৩ লক্ষ অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ নথিভুক্ত রয়েছে। রাজ্যের নথিভুক্ত শিল্পগুলির মধ্যে ৩৫ শতাংশ সম্পূর্ণ মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার র্যাম্প (আরএএমপি) প্রকল্পে সম্প্রতি রাজ্যে এমএসএমই ক্ষেত্রের উন্নয়নে ৬৫ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১০,৯৪৫ জনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ইতিমধ্যে ২,৭৫৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৫ শতাংশ সুদে প্রথম পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত রাজ্যের ৩৬ জন এই প্রকল্পে ঋণ পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে এই ধরনের ৫ জন সুবিধাভোগীকে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা সহ অন্যান্য অতিথিগণ সংবর্ধনা জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা স্বপ্না দেবনাথ ও রাজ্যস্থিত ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন সেন্টারের সহঅধিকর্তা সোহনলাল খালিয়া। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন স্বসহায়ক দল থেকে আগত প্রতিনিধিদের নতুন শিল্পোদ্যোগ স্থাপনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।