Hare to Whatsapp
আখাউড়া, ব্রাক্ষনবাড়িয়া অন্চলে করোনা ভাইরাস: উদ্বিগ্ন আগরতলাবাসী
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ২৩, : আগরতলার নাকের ডগা বলে পরিচিত আখাউড়া,ব্রাক্ষনবাড়িয়া অন্চলে যে ভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন আগরতলা। কেননা ইতিমধ্যেই ওইসব এলাকায় প্রায় পঞ্চাশ জন করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন।কোয়ারাইন্টাইনে রয়েছেন প্রায় শতাধিক।সরাইল এলাকাতো পাইকারি হারে হোম কোয়ারাইনটাইনে রাখা হয়েছে। সরকারী বিধির তোয়াক্কা না করে ব্রাক্ষনবাড়ীয়াতে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ হ ওয়ার পর ই ব্যাপক ভাবে সংক্রমন র আশন্কা করা হয়েছিল।এই আশন্কাই এখন বাস্তব রুপ নিচ্ছে। ত্রিপুরা ইনফোই এই আগাম আশন্কা ব্যক্ত করে।
ভৌগলিক ভাবে দুই প্রান্ত
আখাউড়া আগরতলা হলেও দুই এলাকা দুদেশে। আখাউড়া য় রয়েছে স্হলবন্দর।আন্তরজাতিক চেকপোস্ট।এই স্হলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি ছাড়াও প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুহাজার লোকজন বাংলাদেশ-ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করে থাকে বৈধপথে। এই পাসপোর্টধারীদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছেই।
কেননা ওপারে মানে আখাউড়া স্থলবন্দরে র ওপ্রান্তে গেলেই অটো টমটমে যাওয়া যায় সহজেই আখাউড়ায়। ওখানে রেল ষ্টেশন থেকে ওদিকে চট্টগ্রাম,অন্যদিকে ঢাকা, সিলেট নানা প্রান্তে সহজেই যাওয়া যায়।আগরতলার কাছে আখাউড়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
আখাউড়া থেকে ব্রাক্ষনবাড়িয়া অটোতে ৪০ মিনিটে যাওয়া যায়।
কিন্তু আখাউড়া এলাকায় উদ্বেগজনক ভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে তেমনি তা আশপাশের এলাকায় বিস্তার লাভ করছে।এটা আগরতলার কাছে উদ্বেগজনক। তেমনি সংক্রমন বাড়ছে ব্রাক্ষনবাড়িয়া এলাকায় ও।সরাইল,নাসিরনগর, বিজয়নগর, নবীনগর অন্চলেও করোনা ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক রুপ নিয়েছে বলে খবর। আমাদের সীমান্ত সন্নিহিত অঞ্চলে বাংলাদেশ প্রান্তে যেভাবে করোনা বিস্তার লাভ করছে তার প্রভাব আগরতলায় যদি আছড়ে পড়ে তাহলে অবাক হবার কারন থাকবে না। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিতেই পারে বলে আশঙ্কা।এই আশন্কা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী সীমান্তে জনতা কার্ফিও র ডাক দিয়েছেন কদিন আগেই। কিন্তু এখন তো পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে। অবিলম্বে আমদানি রফতানি বাণিজ্যে ও লাগামটানা দরকার।যত ই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হোক না কেন করোনারি বিস্তার হতে বাধ্য।
অন্য প্রশ্ন ও উঠেছে। যে দুজন বাংলাদেশী আড়ালিয়ায় আত্মীয়ের বাড়ী থেকে বাংলাদেশ ফিরে গেছেন তাঁদের তো ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে।এরা এখন ওদেশে কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন। এদের ও তো এদেশে আসা-যাওয়ার সময়ে দুবার করে চারবার থার্মাল টেষ্ট করা হয়েছে। তখন তো ওদের কিছুই ধরা পড়েনি। কিন্তু ফেরার দিন ব্রাক্ষনবাড়িয়ায় ধরা পড়েছে করোনা। সীমান্তে দুপ্রান্তের থার্মাল চেকিং এ ধরা পড়ল না, আবার কয়েকঘণ্টা রং মধ্যেই পজিটিভ ধরা পড়ার ঘটনা নানা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।