Hare to Whatsapp
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের যাত্রীদের সহায়তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ১৮, ২০২৪: ১৩১৭৪-আগরতলা-শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের যাত্রীদের সার্বিক সহায়তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ১৭ জুন দুপুরে সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী জানান, আজ সকাল ৮.৪৫ মিনিট নাগাদ ১৩১৭৪-আগরতলা-শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার রাঙ্গাপানি এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে। একটি পণ্যবাহী ট্রেনের সাথে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সংঘর্ষের ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। উল্লেখ্য, গতকাল সকাল ৮টা ১৫মিনিটে আগরতলা-শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটি আগরতলা থেকে শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রেনটিতে ২১টি যাত্রীবাহী কোচ ও ২টি ভিপি পার্সেল কোচ ছিল। সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী জানান, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জন নিহত ও প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রাথমিক খবরে জানা গেছে নিহতদের মধ্যে রাজ্যের কেউ নেই। সচিব জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রাজ্যের কোনও যাত্রী থাকলে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। তাছাড়াও রাজ্যের আহত যাত্রীদের সমস্ত চিকিৎসার ব্যয়ভার রাজ্য সরকার বহন করবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী জানান, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারকে কার্যকর করা হয়েছে। এর হেল্পলাইন নম্বর হলো ১০৭০। পাশাপাশি ল্যান্ডলাইন নম্বর হচ্ছে ০৩৮১-২৪১৬০৪৫ / ২৪১৬২৪১। তাছাড়াও ইমার্জেন্সি রেসপন্স সাপোর্ট সিস্টেমের ১১২ নম্বরটিও কার্যকর রয়েছে। পাশাপাশি জনস্বার্থে এই হেল্পলাইনগুলি সম্পর্কিত তথ্য টিভি চ্যানেল, এলইডি স্ক্রিন এবং সামাজিক মাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই কলকাতার ত্রিপুরা ভবন থেকে একটি প্রতিনিধিদলকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। প্রতিনিধিদলটি দুর্ঘটনাস্থল ও নিকটবর্তী হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসা এবং অন্যান্য সহায়তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেলওয়ে ও দুর্ঘটনাস্থলের স্থানীয় প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ সচিব ইউ কে চাকমা, রাজস্ব দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ আচার্য, পরিবহণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের স্টেট প্রজেক্ট অফিসার শরৎ দাস উপস্থিত ছিলেন।