Hare to Whatsapp
রাজ্যের ভোক্তাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানে বিদ্যুৎ দপ্তর দায়বদ্ধভাবে কাজ করছে : বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ১৭, ২০২৪: রাজ্যের ভোক্তাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানে বিদ্যুৎ দপ্তর দায়বদ্ধভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কল সেন্টারের ১৯১২ নম্বর ছাড়াও ওয়াটসঅ্যাপ নম্বর (৯৮৬৩৫৯৬০৮১), বিদ্যুৎবন্ধু অ্যাপ, ওয়েবসাইট (www.tsecl.in) ইত্যাদি ব্যবস্থাও দপ্তর চালু করেছে। এগুলি ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ গ্রাহকদের আরও বেশী করে সচেতন করতে হবে। ১৬ জুন সচিবালয়ে নিজ অফিসকক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়ে থাকে আগরতলা শহর এলাকায়। আগরতলা ১নং সার্কেলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে নতুন একটি কল নম্বর আজ থেকে চালু করা হয়েছে। এই নম্বরটি হল 6033 132082। ১৯১২ নম্বরের পাশাপাশি এই নম্বরের মাধ্যমেও গ্রাহকরা ২৪ ঘন্টা পরিষেবা পাবেন। আগরতলার ১নং সার্কেলের অর্ন্তগত বনমালীপুর, বড়দোয়ালী, আই জি এম, যোগেন্দ্রনগর, প্রতাপগড়, আমতলি, সেকেরকোট, জিবি, ক্যাপিটল কমপ্লেক্স এবং দুর্জয়নগর বিদ্যুৎ ডিভিশনের গ্রাহকরা এর সুবিধা পাবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে লোডশেডিং না থাকলেও মাঝে মাঝে পাওয়ার কাট হয়ে থাকে। বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, এবছর অত্যধিক গরমের কারণে ভোক্তারা ফ্রিজ ও এসি'র ব্যবহার বেশী করেছেন। কিন্তু এসি'র ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ দপ্তরকে এই বিষয়ে অবহিত করছেনা। ফলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ লোডের কারনে ট্রান্সফরমার বা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদি নষ্ট হয়ে পাওয়ার কাট হচ্ছে। তাই বিদ্যুতের বৈধ গ্রাহকদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে যে তারা যেন আগামী ১০ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে অনুমোদন নেন। অন্যথায় ইন্ডিয়ান ইলেকট্রিসিটি অ্যাক্ট, ২০০৩-এর ১৬৩ ও ১২৬ নং ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎ তথা কৃষিমন্ত্রী শ্রীনাথ জানান, আগামী ১৮ জুন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিএম-কিষাণ সম্মাননিধি যোজনায় ১৭তম কিস্তিতে দেশের কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার কোটি টাকা প্রদান করবেন। এরফলে রাজ্যের ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৯০৭ জন কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪৮ কোটি ৯৫ হাজার টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে। কৃষিমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে পিএম-কিষাণ সম্মাননিধি যোজনা চালু হওয়ার পর ১৬তম কিস্তি পর্যন্ত দেশের ১১ কোটি কৃষক উপকৃত হয়েছেন। এরমধ্যে মহিলা কৃষক রয়েছেন প্রায় ৩ কোটি। ১৬তম কিস্তি পর্যন্ত রাজ্যের ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৯০৭ জন কৃষক পেয়েছেন মোট ৬৮৭ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা।