Hare to Whatsapp
বিলোনীয়া ও সাব্রুম মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জনসাধারণের চলাচলে বিধিনিষেধ
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ১৪, ২০২৪: সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতি অক্ষুন্ন রাখতে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক এক আদেশে জেলার বিলোনীয়া ও সাব্রুম মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০০ মিটার এলাকায় সিআরপিসি'র ১৪৪ ধারায় জনসাধারণ এবং যানবাহন চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। এই আদেশ গত ৯ জুন, ২০২৪ থেকে কার্যকর হয়েছে এবং তা আগামী ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এই আদেশ উক্ত সময়ের প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৫টা পর্যন্ত কার্যকর হবে।
আদেশে বলা হয়েছে উল্লেখিত সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৫০০ মিটার এলাকা পর্যন্ত ৪ জনের বেশী ব্যক্তি এক জায়গায় জমায়েত হতে পারবেন না। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার এবং বিলোনীয়া ও সাব্রুম মহকুমার মহকুমা শাসকের বৈধ অনুমতিপত্র ছাড়া এই সময়ে সাধারণ জনগণ এবং যানবাহন চলাচল করতে পারবেনা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত অস্ত্র অথবা পাথর, লাঠি সহ অনুমতিহীন মিছিল অথবা পাচ বা ততোধিক ব্যক্তি বেআইনীভাবে জমায়েত করতে পারবেনা। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০০ মিটার এলাকা পর্যন্ত গবাদি পশু পায়ে হেঁটে অথবা যানবাহনে করে পরিবহণ করা যাবে না। সীমান্ত থেকে ১ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যেমন চিনি, আটা, চাল, গম, গমজাতীয় পণ্য, কেরোসিন তেল, সরিষার তেল, নারিকেল তেল, সার, বস্ত্র, লোহা এবং স্টিলের জিনিষপত্র, বিড়িপাতা, মেশিনের যন্ত্রাংশ, শিশুখাদ্য, সাইকেলের যন্ত্রাংশ, লবন, চা, টায়ার এবং টিউব, সব ধরণের ড্রাই ব্যাটারি, পেট্রোল এবং ডিজেল, কাঁচা পাট, ডাল/শস্য, গবাদিপশু, ভেড়া/ছাগল, সিমেন্ট, সুপারি, প্রসাধন সামগ্রী, গুড়া দুধ, সিগারেট, মশলা, মদ/বিয়ার, মাছ, শুকনো মাছ, গরুর মাংস, বন্য জন্তু, রেজার এবং ব্লেড, কয়লা, ঔষধপত্র, গাজা, কাঠের লগ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি বহন করা যাবে না। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১ কিলোমিটার এলাকায় রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত হাঁট/বাজার/দোকান খোলা যাবেনা। সীমান্ত এলাকার নদীতে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত নৌচলাচল বন্ধ থাকবে।
এই আদেশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিযুক্ত সামরিক/আধাসামরিক বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের কর্মীদের ক্ষেত্রে, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা এসপি এবং বিলোনীয়া ও সারুম মহকুমার মহকুমা শাসকের বৈধ অনুমতিপত্র পাওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে, অফিসের জরুরী কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মচারির ক্ষেত্রে, এখুনি চিকিৎসা প্রয়োজন এমন রোগীর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধে ছাড় রয়েছে। এই আদেশ অমান্য করলে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৮৮ ধারায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।