Hare to Whatsapp
২-ত্রিপুরা পূর্ব (এসটি) সংসদীয় ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ২৫ , ২০২৪: আগামী ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ২-ত্রিপুরা পূর্ব (এসটি) সংসদীয় ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে। আগামী ২৬ এপ্রিল ২-ত্রিপুরা পূর্ব (এসটি) সংসদীয় ক্ষেত্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১৩,৯৬,৭৬১ জন ভোটার। এরমধ্যে ১৮-১৯ বছর বয়সী ভোটার রয়েছেন ৩৮,২৪৫ জন। দিব্যাঙ্গজন ভোটার রয়েছেন ১১,০১২ জন। ৮৫ বছর ঊর্ধ্ব ভোটার রয়েছেন ৮,৯৪২ জন এবং সার্ভিস ভোটার রয়েছেন ৪,৬৭৮ জন। ২৪ এপ্রিল মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক পুনীত আগরওয়াল। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক প্রথম পর্যায়ের মতো দ্বিতীয় পর্যায়েও ভোটারগণকে উৎসবের মেজাজে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানান, ২-ত্রিপুরা পূর্ব (এসটি) সংসদীয় ক্ষেত্রের অন্তর্গত ৩০টি বিধানসভা ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ১,৬৬৪টি। এরমধ্যে মডেল ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ৬১টি, মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ৬৭টি, দিব্যাঙ্গজন পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ৩০টি এবং যুবদের দ্বারা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ৩০টি। এই সংসদীয় ক্ষেত্রের নির্বাচনে ১৬,২৬০ জন ব্লু ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের সুবিধার জন্য পানীয়জলের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, দিব্যাঙ্গজন ভোটারদের জন্য র্যাম্প, শৌচালয় এবং শেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়াও দিব্যাঙ্গজন এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি গ্রাউন্ড ফ্লোরে করা হয়েছে।
দিব্যাঙ্গজনদের জন্য আলাদা লাইন অথবা আগে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়াও হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানান, ভোটের দিন যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দৃষ্টিহীনদের জন্য ব্রেইলে ভোটার ইনফরমেশন স্লিপ এবং ইভিএমে ব্রেইলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানিয়েছেন, ২-ত্রিপুরা পূর্ব (এসটি) সংসদীয় ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণের জন্য ২ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, ২ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং ১ জন ব্যয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক রয়েছেন। মাইক্রো অবজারভার রয়েছেন ১,৩৬৫ জন। নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সিএপিএফ, সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই এই সংসদীয় ক্ষেত্রে সরব প্রচার শেষ হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৫টা থেকে ২৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী কোনও ধরনের সভা করতে পারবেন না। সিনেমাটোগ্রাফ, টেলিভিশন বা এ ধরনের প্রচার মাধ্যমে কোনও ধরনের নির্বাচনী প্রচার করা যাবে না। সামাজিক মাধ্যমের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য। কোনও ব্যক্তি কোনও সংস্থা রাজনৈতিক দল অথবা প্রার্থী যদি ছাপা প্রচার মাধ্যমে নির্বাচন বিষয়ক কোনও বিজ্ঞাপন প্রচার করতে চান তবে তার জন্য এমসিএমসি সার্টিফিকেট নিতে হবে। বাইরে থেকে আসা কোনও রাজনৈতিক কর্মী যদি ঐ নির্বাচন ক্ষেত্রের ভোটার না হন তবে তিনি সংশ্লিষ্ট নির্বাচন ক্ষেত্রের মধ্যে থাকতে পারবেন না। তিনি জানান, আগামী লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে ১ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার আগে এক্সিট পোল প্রচার করা যাবে না। ভোটারদের সুবিধার জন্য হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। জেলা হেল্পলাইন নম্বর হলো ১৯৫০ এবং রাজ্য হেল্পলাইন নম্বর হলো ১৮০০৩৪৫০১৯৫০। ভোটগ্রহণের সময় একজন ভোটার তার ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়াও ১১টি পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোটদান করতে পারবেন। এগুলি হলো আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ইউনিক ডিসেবিলিটি আইডি কার্ড, সার্ভিস আইডি কার্ড, ছবি সহ ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসের পাসবই, হেলথ ইনস্যুরেন্সের স্মার্ট কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, পেনশনের ডকুমেন্ট, এমপি / এমএলএ / এমএলসি-দের অফিসিয়াল আইডেন্টিটি কার্ড এবং এমএনরেগা জবকার্ড।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানান, ভোটগ্রহণের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য একজন অতিরিক্ত ভোটকর্মী নিযুক্ত করা হবে। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই ভোটার অ্যাসিস্টেন্স বুথ তৈরি করা হবে। এই নির্বাচনী ক্ষেত্রের জন্য ১৮টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই ১৪টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া ৫১টি অভিযোগের মধ্যে ৪৬টি অভিযোগের উত্তর দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক উসা জেন মগ ও অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।