Hare to Whatsapp
নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত ভোটকর্মীদের ইডিসি ভোটের জন্য ৪টি ভোটকেন্দ্রে ১০০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে : রিটার্নিং অফিসার
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪: ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় ক্ষেত্রের নির্বাচনে গত ১৯-০৪-২০২৪ তারিখে যে ভোট পড়েছে তাতে অনিয়ম রয়েছে বলে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল। এই বিষয়টি নিয়ে কিছু সংবাদপত্রেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ সমস্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় ক্ষেত্রের রিটার্নিং অফিসার তথা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার এক প্রেস নোটে জানিয়েছেন, অভিযোগের বিষয়গুলি নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। প্রেস নোটে তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনও ধরনের অনিয়ম হয়নি। যে চারটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের প্রদত্ত ভোটের শতাংশ নিয়ে অভিযোগ এসেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের এআরওদের কাছ থেকে রিপোর্ট আনা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত কর্মীদের ইডিসি ভোটের জন্য ভোটের শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ভোটকেন্দ্রগুলি ছিল এআরও হেডকোয়ার্টার, ডিসপারসেল সেন্টার বা স্ট্রং রুমের কাছে। তাছাড়া কিছু রিজার্ভড ভোটকর্মীও কাছাকাছি এলাকাতে নিযুক্ত ছিলেন। তাই এই ভোটকর্মীরাও ইলেকশন ডিউটি সার্টিফিকেট দেখিয়ে সেখানে ভোট দিয়েছেন। এনকোর অ্যাপ্লিকেশনে নির্বাচকদের যে সংখ্যা দেখানো হয়েছে তা হচ্ছে ঐ ভোটকেন্দ্রের নির্বাচক তালিকায় যতজন নির্বাচক রয়েছেন সেই সংখ্যা। এনকোরের মোট কলামে নির্বাচন কর্মীদের প্রদত্ত ভোট যোগ হয়নি। কিন্তু মোট প্রদত্ত ভোটের মধ্যে নির্বাচন কর্মীদের ভোট যোগ করা হয়েছে। তাই কোনও কোনও ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে ১০০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।
যেসব ভোটকেন্দ্র নিয়ে অভিযোগ এসেছে সেই ভোটকেন্দ্রগুলি সম্পর্কে বিশদ তথ্য দিয়ে প্রেস নোটে রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, ১০-মজলিশপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের ৪৪ নং ভোটকেন্দ্রে অ্যাসাইন্ড ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ৫৪৫ জন। এরমধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪৯৮ জন অর্থাৎ ৯১.৩৭ শতাংশ। অন্যান্য বিধানসভা ক্ষেত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে নিযুক্ত ভোটকর্মীদের ইডিসি ভোট পড়েছে ৬৮টি। অর্থাৎ সর্বমোট ভোট পড়েছে ৫৬৬। তাই মোট ১০৩.৮৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দেখা গেছে। ১০/৪৪ বীরেন্দ্রনগর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল এআরও হেড কোয়ার্টারের কাছাকাছি হওয়াতে রিজার্ভে থাকা ভোটকর্মী ও এআরও অফিসের অধিকাংশই সেখানে ভোট দিয়েছেন। তাই এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্ৰে বেশি সংখ্যায় ভোটকর্মী ইডিসি দেখিয়ে ভোট দিয়েছেন।
৫-খয়েরপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের ৪৪ নং অংশে সাধারণ ভোটারের মোট সংখ্যা ১২৯০। এরমধ্যে ১০৫৩ জন ভোট দিয়েছেন। পাশাপাশি ভোটকর্মীর ভোট পড়েছে ৭টি। তাই সর্বমোট ভোটের সংখ্যা ১০৬০ অর্থাৎ ৮২.১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ৫/২৫ খয়েরপুর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ৮৪০ জন। এরমধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৩৪ জন এবং নির্বাচনে নিযুক্ত ভোটকর্মীর ইডিসি ভোট পড়েছে ৫টি। তাই মোট ৭৩৯ জনের ভোট পড়েছে অর্থাৎ ৮৭.৯৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
২-মোহনপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের ৩৮ নং ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ৪৫২ জন। এরমধ্যে ভোট দিয়েছে ৪২৯ জন এবং নির্বাচনে নিযুক্ত ভোটকর্মীদের ইডিসি ভোট পড়েছে ৬৩টি। তাই সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৪৯২। তাই এনকোরে ১০৮.৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। এএখানে উল্লেখ্য, ২/৩৮ ফকিরামুড়া জেবি স্কুল দক্ষিণ অংশের ভোটকেন্দ্রটি হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের কাছাকাছি। স্বামী বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে মোহনপুর মহকুমার তিনটি বিধানসভা ক্ষেত্রের ইভিএম-এর স্ট্রং রুম ও ডিসপারসেল সেন্টার। নির্বাচনের দিন সমস্ত রিজার্ভে থাকা ভোটকর্মী এবং স্ট্রং রুমে কর্মরত কর্মীরা এই ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।
তাছাড়া ২০-০৪-২০২৪ তারিখে সকাল ১১টায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও জেনারেল অবজারভারদের উপস্থিতিতে জেলাশাসকের অফিসে ভোটকর্মীগুলির যাবতীয় কিছু খতিয়ে দেখা হয়। বেশি মাত্রায় ভোট পড়েছে একমাত্র ভোটকর্মীদের ভোটের কারণে। নির্বাচনে কোনোপ্রকার অনিময় হয়নি।