Hare to Whatsapp
উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বর্তমানে রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এসেছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মার্চ ১৩, ২০২৪: উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বর্তমানে রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের এই সুফল যাতে প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো যায় সেই লক্ষ্যে শিক্ষা পরিকাঠামোরও উন্নয়ন করা হচ্ছে। ১২ মার্চ শিশু বিহার উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন কমপ্লেক্সে বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। সমগ্র শিক্ষার উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে বর্তমানে সারা রাজ্যেই উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালে গুজরাটে প্রথম বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নের সেই ঢেউ আজ রাজ্যেও এসে পড়লো। বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র রাজ্যের শিক্ষা জগতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাবে। এই সমীক্ষা কেন্দ্রটি যাতে স্থায়ী হয় সে বিষয়েও দপ্তরের আধিকারিকদের সচেতন থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমরা কিভাবে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছতে পারি তার দিশা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি শিক্ষার্থী কতটা শিখতে পারলো সেটা সমীক্ষা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিখন ফলাফলে উন্নতি ঘটানোই এই বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের অন্যতম উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে সরকারি নীতির বাস্তবায়ন, শিক্ষার সঠিক মূল্যায়ন, ছাত্রছাত্রীদের মানসিক বিকাশ দ্রুত ফলপ্রসূ হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রায়শই বলে থাকেন যে, যাদের কাছে জ্ঞান থাকবে আগামীদিনে পৃথিবী তাদের হাতের মুঠোয় থাকবে। জ্ঞান লাভের যথার্থ স্থান হচ্ছে বিদ্যালয়। তাই বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুণগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের সুবিধা হচ্ছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স, শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতি, শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ সহ নানা ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ১৩ কোটি ছাত্রছাত্রী বিদ্যা সমীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আগামী বছর এই সংখ্যা ২৫ কোটিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার বলেন, প্রতিটি শিশুকে তার স্বপ্ন পূরণে সমর্থ করে তোলাই হচ্ছে বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশ্য। বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্র প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা দপ্তরের কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারের মতো কাজ করবে। কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন শিক্ষাগত উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির রূপায়ণের ক্ষেত্রে কি কি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলি বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে জানা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বুনিয়াদি শিক্ষা অধিকর্তা স্মিতা মল এবং সমগ্র শিক্ষার রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তা এন সি শর্মা। বিদ্যা সমীক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ট্যাব বিতরণ কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন। প্রতীকি স্বরূপ অনুষ্ঠানমঞ্চে ২ জন প্রাথমিক শিক্ষক ও ৩টি পিএম-শ্রী বিদ্যালয়ের প্রধানদের হাতে ট্যাব তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।