Hare to Whatsapp
রাজ্যের উন্নয়নে মহারাজাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মার্চ ১১, ২০২৪: রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে মহারাজাদের অবদান দীর্ঘকাল উপেক্ষিত ছিল। পূর্বে মহারাজাদের অবদানকে সেভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এবং রাজ্যে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যের উন্নয়নে মহারাজাদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে। ১০মার্চ আগরতলায় মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দর কমপ্লেক্সে মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের ব্রোঞ্জের পূর্ণাবয়ব মূর্তির আবরণ উন্মোচন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, এই মূর্তি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগরতলা বিমানবন্দরের পথচলার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আগে এই বিমানবন্দর সিঙ্গারবিল নামে সুপরিচিত ছিল। ছোট আকারে ছিল এই বিমানবন্দরটি। ধীরে ধীরে এই বিমানবন্দরটির পরিসরের ব্যাপ্তি ঘটে। বর্তমানে অনেকগুলি বিমান চলাচল করছে। প্রায় ৪ হাজার যাত্রী প্রতিদিন এই বিমানবন্দর দিয়ে আসা যাওয়া করছে। মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে শীঘ্রই চালু করতে সরকার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে আসা বহির্রাজ্যের যাত্রীসাধারণ যখন সুদৃশ্য এই বিমানবন্দরের সৌন্দর্যতার ভূয়সী প্রশংসা করেন তখন রাজ্যবাসী হিসেবে নিজেদের গর্ববোধ হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গির ফলে রাজ্যে জাতীয় সড়ক, বিমান, ইন্টারনেট, জলপথ ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক উন্নতি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রাজ্যে বর্তমান সরকার গঠিত হওয়ার পর জাতি জনজাতিদের মেলবন্ধন ও সৌভ্রাতৃত্বকে আরও সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মহারাজাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আগরতলা বিমানবন্দরের নাম মহারাজা বীরবিক্রম মাণিক্যের নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে। আধুনিক ত্রিপুরার রূপকার মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্যকে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে এবং আগামী প্রজন্মের কাছে মহারাজার অবদানের কথা তুলে ধরতে এই ব্রোঞ্জ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগরতলা বিমানবন্দরটি অতীতে বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। আগামীদিনে এই বিমানবন্দরটি রাজ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিবহণ দপ্তরের সচিব ইউ কে চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কে সি মিনা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে পরিবহণ কমিশনার উত্তম মন্ডল, পরিবহণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।