Hare to Whatsapp
সরকার রাজ্যে মেডিক্যাল হাব গড়ে তোলার প্রয়াস নিয়েছে : মুখ্যমন্ত্ৰী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মার্চ ১০, ২০২৪: বর্তমান রাজ্য সরকার রাজ্যে মেডিক্যাল হাব গড়ে তোলার প্রয়াস নিয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে বেশিরভাগ মানুষ আসেন চিকিৎসা পরিষেবার সহায়তার জন্য। তাদের সবাইকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়। ৯ মার্চ সন্ধ্যায় আগরতলার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে দুইদিনব্যাপী ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ত্রিপুরা রাজ্য শাখার ৫৪তম বার্ষিক সম্মেলন ট্রিম্যাকন ২০২৪ এর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনায় যারা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি এমন ৪.১৫ লক্ষ পরিবারকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় নিয়ে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী জনআরোগ্য যোজনা চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমন কাজ করে যেতে হবে যাতে ভবিষ্যতে মানুষ মনে রাখে। সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করছে। রাজ্য সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে চলছে। রাজ্যের বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নতিতে বদ্ধপরিকর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার জেলা হাসপাতালগুলিকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দিয়েছে। কিছুদিন পূর্বে রাজ্যে উন্নত একটি ডেন্টাল কলেজ চালু করা হয়েছে। রাজ্যে দুটি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। রাজ্যের চারটি জেলায় ট্রমা সেন্টার চালু করা হয়েছে। আমবাসায় একটি কার্ডিয়াক সেন্টার খোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ডাক্তারদের উপর বিশ্বাস রাখা প্রয়োজন। কারণ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ডাক্তারদের অবদান রয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী দুইদিনব্যাপী এই কনফারেন্সের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে রাজ্যের নবীন এবং প্রবীণ চিকিৎসকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্ৰী তাদের হাতে স্মারক ও শংসাপত্র তুলে দেন। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী (ডা.) মানিক সাহা তার বক্তব্যের প্রথমেই আজ রাজ্যের স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. কিশলয় চৌধুরীর প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেন এবং তার পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. জয়ন্ত রায়। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ডা. দীপঙ্কর প্রকাশ ভৌমিক। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সচিব কিরণ গিত্যে।