Hare to Whatsapp
গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে মৎস্যচাষ ও প্রাণীপালনের উপর সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে : মৎস্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মার্চ ৮, ২০২৪: মৎস্যচাষ ও প্রাণীপালন গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে মৎস্যচাষ ও প্রাণীপালনের উপর সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। ৭ মার্চ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের এক পর্যালোচনা সভায় মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন। সভায় পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের কর্মসূচি নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনা সভায় মৎস্য, প্রাণীসম্পদ বিকাশ ও তপশিলি জাতি কল্যাণমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের জনগণের কল্যাণে মৎস্য, প্রাণীসম্পদ বিকাশ ও তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তর কাজ করছে। রাজ্যের জনগণের কল্যাণে এই তিনটি দপ্তর আগামীদিনে আরও বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে। পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য, বিধায়ক মিনারাণী সরকার, জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি ও বিএসির চেয়ারম্যানগণ, মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্র, সংশ্লিষ্ট তিন দপ্তরের অধিকর্তা, অন্যান্য আধিকারিকগণ ও জেলার বিভিন্ন ব্লকের বিডিওগণ।
পর্যালোচনা সভায় প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর যোজনায় জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩,৪৩৬টি পরিবারকে মোরগ, ১,৩৬০টি পরিবারকে হাঁস পালনে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রাণীপালক সম্মাননিধি প্রকল্পে ৪৫০টি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সভায় মৎস্য দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, চলতি অর্থবছরে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় ৪,৫৩৫টি পরিবারকে মৎস্যচাষে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় জেলার ৯৮টি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মৎস্য দপ্তরের রাজ্য পরিকল্পনায় ৪৩৪টি মৎস্যজীবী পরিবারকেও সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পর্যালোচনা সভায় তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, চলতি অর্থবছরে জেলায় তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ৫২ জনকে পাম্প মেশিন, ৩০৭ জনকে সেলাই মেশিন ও ১৫৪ জনকে বাইসাইকেল দেওয়া হয়েছে।
পর্যালোচনা সভায় মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। সরকার রাজ্যকে প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভর করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে সরকারের এই উদ্যোগ সফল হবে না। মৎস্যচাষী ও প্রাণীপালকদের আত্মনির্ভর করে তোলারও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।