Hare to Whatsapp
বর্তমান প্রযুক্তির যুগেও বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪: বই থেকে যে অনুভূতি আসে তা অন্যকোন মাধ্যম থেকে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই বৰ্তমান প্রযুক্তির যুগেও বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় মঞ্চে ৪২তম আগরতলা বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সময়ের সঙ্গে সাজুজ্য রেখে অনেক কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। আগে বইয়ের প্রতি যে উন্মাদনা ছিল তাতে হয়ত কিছুটা হলেও ঘাটতি এসেছে। উন্নত প্রযুক্তি এর একটা অন্যতম কারণ হতে পারে। প্রযুক্তির কারণে বই এখন কম্পিউটার স্ক্রিনে অনায়াসে চলে আসে। মুখ্যমন্ত্রী নিজের ছোটবেলার স্মৃতি মন্থন করে বলেন, একটা বই প্রকাশিত হলে তাতে নতুনত্ব কি আছে তা জানার জন্য একটা উন্মাদনা ছিল। বীরচন্দ্র স্টেট সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর সামনে বই পড়ার জন্য অনেক সময়ই লাইন লেগে যেত। উপহার হিসেবে বই বেশী করে দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এতে একদিকে যেমন প্রকাশক, লেখকরা উৎসাহিত হবেন তেমনি বই পড়ার যে চর্চা তাতে গতি আসবে। বইমেলা মানুষকে বই পড়ার দিকে আরও বেশী উৎসাহিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বই পিপাসুদের ভিড়ে ৪২তম আগরতলা বইমেলা জমজমাট হয়ে উঠবে বলে অনুষ্ঠানের সভাপতি বিধায়ক মীণারাণী সরকার আশা প্রকাশ করেন। বিশেষ অতিথির ভাষণে বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ভারতের কাছে বাংলাদেশ নানাভাবে ঋণী। মুক্তিযুদ্ধে আগরতলা যেভাবে বাংলাদেশের মানুষকে সহায়তা করেছে তা ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পেয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। স্বাগত ভাষণে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, ৪১তম বইমেলায় ১৮০টি স্টল খোলা হয়েছিল। এবারের মেলায় ১৯১টি স্টল খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ত্রিপুরার ১১০টি স্টল ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের ৬৬টি, আসামের ৬টি, উত্তর প্রদেশের ২টি, দিল্লির ২টি স্টল রয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের ৫টি স্টলও রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, ত্রিপুরা বিধানসভার সরকারি মুখ্যসচেতক বিধায়ক কল্যাণী সাহা রায়, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার ও বিশেষ অতিথি হিসেবে আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অতিথিগণ ৪২তম আগরতলা বইমেলা উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকা ও গোমতীর বিশেষ সংখ্যার আবরণ উন্মোচন করেন।