Hare to Whatsapp
শ্রুতি ও এগিয়ে চল সংঘের ৮ম ভারত-বাংলাদেশ আবৃত্তি উৎসবে ব্রততী ও বিশিষ্ট আবৃত্তিকারদের পরিবেশনা ২৬ শে
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪: এগিয়ে চল সংঘ নিবেদিত ও শ্রুতি আয়োজিত ৮ম ভারত-বাংলাদেশ আবৃত্তি উৎসব আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ আগরতলা টাউন হল বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে। সকল ভাষার সম্মানে, সকল ভাষার বিকাশে আয়োজিত এই উৎসবে একক আবৃত্তি পরিবেশন করবেন কলকাতার বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ বিদেশে নন্দিত, বাচিকশিল্পে জনপ্রিয়তম শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৬ সালে "এক সন্ধ্যায় একা ব্রততী" শীর্ষক ঐতিহাসিক সন্ধ্যায় তাঁর একক আবৃত্তি রবীন্দ্র সদনে উপস্থিত মানুষের মন জয় করেছিল।পরের বছর ১৯৯৭ সালের পুজোয় 'আমি সেই মেয়ে' কবিতা আবৃত্তি এইচ এম ভি-র শারদ অর্ঘ্যতে প্রকাশ পায়। এই উৎসবে বাংলাদেশের স্বনামধন্য বাচিকশিল্পী দেওয়ান সাঈদুল হাসান, মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম এবং ত্রিপুরার শিল্পী স্মিতা ভট্টাচার্যও আবৃত্তি পরিবেশন করবেন। বাংলাদেশের বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী দেওয়ান সাঈদুল হাসান শুধু একজন দর্শক-শ্রোতাপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপক ও নন্দিত আবৃত্তিকারই নন। তিনি কবি এবং গীতিকারও। দেওয়ান সাঈদুল হাসান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। চট্টগ্রামের তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মো. মুজাহিদুল ইসলাম সংগঠক ও বাচিকশিল্পী হিসেবে দেশ বিদেশে সমাদৃত। পাশাপাশি রাজ্যের বাচিক শিল্পী স্মিতা ভট্টাচার্য ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পরপর দুটি একক আবৃত্তি সন্ধ্যায় নজর কাড়েন।তিনি পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও বাংলাদেশে নিয়মিত আবৃত্তি পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে সমবেত আবৃত্তি পরিবেশন করবে কবিতালোক, অর্কদ্যুতি, সৃষ্টি ও শ্রুতির শিল্পীরা। রয়েছে হিন্দি ও ককবরক কবিতার আবৃত্তি। সঙ্গীতে থাকবেন রাজ্যের প্রখ্যাত শিল্পী অমর ঘোষ ও সুরারণ্য। নৃত্যে তনুশ্রী ক্রিয়েশন, আবহতে কলকাতার শিল্পী শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের শিল্পী সৌম্যেন্দ্র নন্দী। সঞ্চালনায় কলকাতার শিল্পী মৌসুমী ভট্টাচার্য এবং রাজ্যের পিন্টুলাল সাহা। এছাড়া এই উৎসবে আবৃত্তি পরিবেশনকারীদের আবৃত্তি কর্মশালা ২৩-২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এগিয়ে চল সংঘে অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এগিয়ে চল সংঘে আবৃত্তি অনুরাগীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় থাকবেন ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, দেওয়ান সাঈদুল হাসান, মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম ও অন্যান্য শিল্পীরা। এগিয়ে চল সংঘ ও ত্রিপুরা দর্পণ থেকে এই অনুষ্ঠানের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করা যাবে।