Hare to Whatsapp
রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪: রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে গতানুগতিক চিন্তাভাবনার উর্দ্ধে উঠে জনকল্যাণে উদ্ভাবনী কর্মসূচি বাস্তবায়ণের উদ্যোগ নিচ্ছে বর্তমান সরকার। এখন থেকে নায্যমূল্যের দোকানে গোমতীর দুগ্ধজাত পণ্য সরবরাহ করা হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রগতি বিদ্যাভবনের সন্নিকটে ৬১ নম্বর নায্যমূল্যের দোকানে গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়নের উৎপাদিত দুগ্ধজাত সামগ্রীর বিক্রয় কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়নের উৎপাদিত আইসক্রিম, দই, ঘি ও পনির নায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গ দর্শনে রাজ্য সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্প রূপয়াণ করছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের গণবন্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উপর গরুত্ব আরোপ করেছেন। এই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকারও রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের লক্ষ্য মানুষের সার্বিক কল্যাণ। রাজ্যের প্রতিটি নাগরিককে স্বাস্থ্য বীমা পরিষেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার মত রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা চালু করা হয়েছে। এতে রাজ্যের ৪ লক্ষ ১৫ হাজার সুবিধাভোগী উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এই অঞ্চলের বিকাশে অ্যাক্ট ইষ্ট পলিসি চালু হয়েছে। এতে ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি লাভবান হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য সবাইকে নিয়ে একসাথে চলা। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার সব অংশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। এই সরকার জনদরদি সরকার। সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, রাজ্যের নায্যমূল্যের দোকানগুলিতে এখন বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এর সাথে যুক্ত হল গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়নের উৎপাদিত দুগ্ধজাত পণ্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রতন ঘোষ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার ইউনিয়নের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনন্দরূপ ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্র, খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার প্রমুখ।