Hare to Whatsapp
সুস্থ ও উন্নত মানবসম্পদ গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র : মুখ্যমন্ত্ৰী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪: আজকের শিশু ও কিশোর কিশোরীরা হচ্ছে আগামীদিনে দেশের কান্ডারি। তাই তাদের সুস্থ ও সবলভাবে গড়ে তুলতে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব-সুস্থ কৈশোর অভিযানের সূচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও শিশু ও কিশোর কিশোরীদের সুস্থ ও সবলভাবে গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। রাজ্য সরকারও প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে কাজ করছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বিশালগড়ের নতুন টাউনহলে রাজ্যভিত্তিক মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব-সুস্থ কৈশোর অভিযান ৬.০ কর্মসূচির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ একই সাথে রাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের বিসিজি (যক্ষ্মা প্রতিরোধক) টিকাকরণের কাজও শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ২জন শিশুকে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডের ট্যাবলেট খাওয়ানো এবং ২জন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে বিসিজি ভ্যাকসিনেশন দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব-সুস্থ কৈশোর অভিযান ৬.০ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আরও বলেন, রাজ্যের সার্বিক বিকাশে সুস্থ ও উন্নত মানবসম্পদ গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। এই লক্ষ্যেই রাজ্যে উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও প্রান্তিক জনপদে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্প্রসারণে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃমি সংক্রমণ, ভিটামিন-এ'র অভাব, শৈশবে ডায়ারিয়া, আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডের অভাব মানব স্বাস্থ্যের পক্ষে উদ্বেগজনক। শিশু ও কিশোর কিশোরীদের রক্তাল্পতা দূর করতে এবং শারীরিক ও মানসিক বিকাশে এই অভিযান একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই অভিযানে শূন্য থেকে ১৯ বছর বয়সের শিশু ও কিশোর কিশোরীদের বিভিন্ন প্রতিরোধক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে ও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার শিশু ও কিশোর কিশোরীদের এই অভিযানের আওতায় আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে এই অভিযান শুরু হয়েছিল ২০২১ সাল থেকে। প্রথম বছর থেকেই রাজ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের তৎপরতায় এই কর্মসূচিতে বিশেষ সাফল্য এসেছে। এই অভিযানে ১০০ শতাংশ সাফল্য আনার লক্ষ্যে দপ্তরকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে হবে।
রাজ্যভিত্তিক মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব-সুস্থ কৈশোর অভিযান ৬.০ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক সুশান্ত দেব, ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক, সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক নাগেশ কুমার বি, পুলিশ সুপার বি জে রেড্ডি, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. সুপ্রিয় মল্লিক, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ত্রিপুরা শাখার অধিকর্তা ডি কে চাকমা। সভাপতিত্ব করেন বিশালগড় পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অঞ্জন পুরকায়স্থ। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণে সাফল্যের জন্য পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা কার্যালয়কে পুরস্কৃত করা হয়।