Hare to Whatsapp
জৈব পদ্ধতিতে চাষের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে : কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের মাধ্যমে রাজ্যে কৃষিজ উৎপাদন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি জৈব পদ্ধতিতে চাষের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। ৩১ জানুয়ারি তুলাশিখর কৃষি তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সব্জি প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে একথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ। অনুষ্ঠানে অতিথিগণ কৃষি মহকুমা এলাকার ৫ জন বিশিষ্ট কৃষককে সম্মাননা জানান। এছাড়া ১২ জন কৃষককে পাম্পসেট, ১৪ জনকে পাওয়ারটিলার এবং ২০ জনকে ব্যাটারি চালিত স্প্রে মেশিন দেওয়া হয়। স্থানীয়দের মধ্যে মোসাম্বি ও কলার চারাও বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করাই হলো বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। বিগত ৫ বছরের মধ্যে ২৮,৮০০ জন কৃষককে বিভিন্ন উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করা হয়েছে। যার জন্য ব্যয় হয় ১৬২ কোটি টাকা। তাছাড়াও খোয়াই জেলায় চলতি অর্থবছরে ৮২৭টি উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে সারা রাজ্যে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে। তার মধ্যে তুলাশিখর কৃষি মহকুমায় ৫০০ হেক্টর জমিতে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে। কৃষি মহকুমার ১০টি ফার্ম মেশিনারি ব্যাঙ্ককে ইতিমধ্যেই কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করা হয়েছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা বিধায়ক অনিমেষ দেববর্মা, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য অনন্ত দেববর্মা, খোয়াই জোনাল কার্যালয়ের চেয়ারম্যান বিশু দেববর্মা, তুলাশিখর বিএসি চেয়ারম্যান প্রদীপ দেববর্মা, উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ফণীভূষণ জমাতিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তুলাশিখর এগ্রি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান খগেশ দেববর্মা। উদ্বোধনী পর্বের পর অতিথিগণ ফিতা কেটে সব্জি প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।