Hare to Whatsapp
যুব সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪: ক্লাবগুলিকে এলাকার জনগণের বিভিন্ন সমস্যা নিরপেক্ষভাবে সমাধানের মধ্য দিয়ে এলাকাবাসীর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে হবে। বর্তমানে ক্লাবগুলি সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে সুস্থ সমাজ গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। ২৮ জানুয়ারি আখাউড়া রোডের ত্রিনয়নী সামাজিক সংস্থাকে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ত্রিনয়নী সামাজিক সংস্থাকে এই অ্যাম্বুলেন্সটি প্রদান করেছেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যেও সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাব ও সামাজিক সংস্থার সমস্ত কর্মকান্ডে সরকার সবসময় পাশে রয়েছে। ক্লাব ও সামাজিক সংস্থাগুলো যদি নিজ নিজ এলাকার জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয় তাহলে সরকারের পক্ষেও সংশ্লিষ্ট এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ রূপায়ণ সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি এলাকায় যাতে ভয়ভীতি ও অশান্তির পরিবেশ কায়েম না হয় সেদিকেও ক্লাবগুলিকে নজর রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সরকার। জনগণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে বলেই রাজ্যে বর্তামানে যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলেই রাজ্যে ৬টি জাতীয় সড়ক হয়েছে এবং আরও ৪টি জাতীয় সড়কের জন্য নীতিগতভাবে মঞ্জুরী পাওয়া গেছে। রাজ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে বর্তমানে ১৮টি এক্সপ্রেস ট্রেন রাজ্য থেকে চলাচল করছে। আরও এক্সপ্রেস ট্রেন বৃদ্ধি করার জন্য সম্প্রতি এনইসি বৈঠকে দাবি জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। ফলে বহির্রাজের বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে রাজ্যে শিল্প স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। রাজ্যের জনজাতিদের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নেও সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তা রূপায়ণ করছে।
অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, শহরবাসীরদের মৌলিক চাহিদা পূরণে আগরতলা পুরনিগম আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ক্লাবগুলিকেও সরকারের পাশে থেকে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়ণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, কর্পোরেটর তুষার কান্তি ভট্টাচার্য, কর্পোরেটর জাহ্নবী দাস চৌধুরী, মার্কফেডের ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জয় সাহা, ত্রিনয়নী সামাজিক সংস্থার সভাপতি প্রবীর ধর চৌধুরী প্রমুখ।