Hare to Whatsapp
ত্রিপুরা পুলিশ জনবান্ধব হিসেবে কাজ করছে : মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৪: ত্রিপুরা পুলিশ হচ্ছে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। ত্রিপুরা পুলিশ জনবান্ধব হিসেবে কাজ করছে। পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণের জীবন ও সম্পদের সুরক্ষা করা। ২৫ জানুয়ারি আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে ত্রিপুরা পুলিশের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সুসজ্জিত ১৫০টি বেলুন উড়িয়ে দেন। তাছাড়া অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত রক্তদান শিবির ও চিত্র প্রদর্শনীরও সূচনা করেন। এছাড়াও তিনি ত্রিপুরা পুলিশের ১৫০ বছর পূর্তির পদক ও ব্যাজ উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন সহ রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে টিএসআরের জওয়ানগণের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানো হয়৷
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় পুলিশ ব্যবস্থার ইতিহাস বহু পুরনো। ত্রিপুরা পুলিশের একটা উজ্জ্বল অতীত রয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশের এই গৌরবময় ইতিহাস সমগ্র দেশে প্রচারের আলোয় নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকলে উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী। বর্তমানে রাজ্যের সার্বিক আইনশৃঙ্খলার অবস্থা সন্তোষজনক। দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে সর্বনিম্ন অপরাধের নিরীখে ত্রিপুরা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এর আগে ত্রিপুরা পঞ্চম স্থানে ছিল। বর্তমানে রাজ্যে ডাকাতি, খুন, মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ, গার্হস্থ হিংসার মতো অপরাধ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে মাদক দ্রব্যের পাচার ও ব্যবহার বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে মাদক দ্রব্য ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাদক দ্রব্য উদ্ধার ও ধ্বংস করার ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ উদ্যোগ নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত বিধানসভার নির্বাচন ও উপনির্বাচনগুলি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের বিরাট কৃতিত্ব রয়েছে। পুলিশ বাহিনীকে তার কর্মস্থলে উৎকৃষ্ট কাজের মাধ্যমে নিজের ছাপ রেখে যেতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে মানুষের কাছে তা স্মরণীয় হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা পুলিশের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজ্য পুলিশের জনসচেতনতামূলক একাধিক প্রচার অভিযান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এই প্রচার অভিযান কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৩টি বাসে মোবাইল এক্সিবিশন, রাজ্যের ৮টি জেলায় জনসচেতনতামূলক প্রচার অভিযানের জন্য ৮টি জিপসি গাড়ি, ট্রাফিক, মাদকদ্রব্য, মহিলা সুরক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনার জন্য ১৫০টি বাইক, সচেতনতামূলক প্রচার পুস্তিকা বিতরণের জন্য ত্রিপুরা পুলিশের মোট ১৫০ জন মহিলা পুরুষের অভিযাত্রার সূচনা, দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে জনগণকে দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ত্রিপুরা পুলিশের ৫টি ব্যান্ড।