Hare to Whatsapp
হঠাৎই রাজধানী চন্চল, অবাধ্য মানুষকে বাগে আনতে মানবিক পুলিশের অমানবিক মুখ
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ১৫, : আজ বুধবার হঠাৎ করেই যেন আগরতলা কেমন ওলটপালট হয়ে গেল। রাজপথে অনেকটাই জনঢল নামল।কেন এমনটা হল তা তা বোঝাই গেল না।যদিও পরবর্তী সময়ে পুলিশের বোধদয় হল এবং এরা ময়দানে নামল। ময়দানে নামতে গিয়ে এদের মধ্যে কয়েকজন এমন সব কাজ করল যা আইনীদেশে কল্পনাও করা যায় না।
আজ ছিল বুধবার। মঙ্গলবার ছিল নববর্ষ। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতন্কে র মধ্যদিয়েই আমরা নুতন বছর কে স্বাগত জানিয়েছি। মঙ্গলবার ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউন বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন।তিনি ঘোষনা দিয়েছেন কিছু কিছু ছাড়।আজ এই ছাড় গুলি জানানো হচ্ছে।
কিন্তু আজ হঠাৎ করেই যেন আগরতলা চন্চল হয়ে উঠতে শুরু করল সকাল ৯টার পর থেকেই।রাজপথে বাইক নিয়ে যেমন দাপাদাপি তেমনি ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে দে ছুট। কিন্তু কেন এমনটা হল তাতো বোঝাই গেল না। অথচ অন্যদিন এমনটা হয় নি। পুলিশ সকাল থেকেই তৎপর থাকে শহরের নানা প্রান্তে। তাদের দেখে মনেই হয়নি এদের বাড়ীঘর রয়েছে, রয়েছে এদের পরিবার পরিজন রয়েছে।সদা সতর্ক ছিল এরা দিন রাত।
কিন্তু আজ তো এমন দেখা যায়নি।দেখা যায়নি অন্যান্য দিনের মতো।কেন এমনটা হল?
কিন্তু পুলিশ ময়দানে নামল তখন যখন অনেকটাই দেরী হয়ে গেল।এরা প্রথমদিকে উন্মত্ততা আটকাতে হিমশীম খেয়েছে।স্হানীয় টিভি চ্যানেল গুলো এসব দেখিয়েছে।
কিন্তু মাঝপথে অতি তৎপর হতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ কর্মী এমন কাজ করেছে তা ভাবনার অতীত।দেখা গেল বাইক নিয়ে বাড়ীতে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ এক যুবককে আটকাল।তারপর দুজন কনষ্টেবল তাকে এমনভাবে মারধর করতে লাগলো যা দেখে আঁতকে উঠতে হয়েছে।কোন সভ্য দেশে এমন বর্বরতা আশাই করা যায়না।অথচ আগরতলায় আজ তাই দেখা গেল।যদিও এ ঘটনা বিক্ষিপ্ত তবু বলা যেতেই পারে এঘটনা পুলিশের মানসম্মান যেমন ধূলোয় লুকিয়েছে তেমনি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব র ভাবমূর্তির উপর খানিকটা হলেও ম্লান করেছে। যা হবার তো হয়েই গেছে,এখন হয় তদন্ত হবে, তাদের সাসপেন্ড করা হবে কিন্তু তাকে লাঠিপেটা করা হয়েছে তার কি হবে? সে বিচার পাবে কি ভাবে? তাঁর বিচারের বানী তো নিভৃতে ঢুকরে ঢুকরে কাঁদবে।
দুপুরের পর থেকে অবশ্য পুলিশ শহর আগরতলায় আবার লকডাউন ফিরিয়ে এনেছে।