Hare to Whatsapp
শিশুদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রত্যেক নাগরিকের গরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪: আজকের শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনে তারাই দেশ বা রাজ্য পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। তাই শিশুদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে অভিভাবক সহ প্রত্যেক নাগরিকের গরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। ২১ জানুয়ারি আগরতলার বড়দোয়ালীর মধ্যপাড়ায় নব অঙ্গীকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা আয়োজিত ১৫তম শিশু মেলা ও রক্তদান উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুরা হচ্ছে মাটির মতো। তাদেরকে যেভাবে গড়ে তোলা হবে তারা সেইভাবেই গড়ে উঠবে। প্রত্যেকটি শিশুর অন্তর্নিহিত প্রতিভাগুলিকে বিকশিত করার ক্ষেত্রে অভিভাবক সহ সমাজের প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব নিতে হবে। এধরণের শিশু মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সবার মধ্যে এক মেলবন্ধন তৈরী হয়। যা চিরজীবন স্মৃতি হয়ে থাকে। তিনি বলেন, দেশ ও উত্তরপূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ত্রিপুরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। রক্তদান সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্তদানের কোন বিকল্প হয়না। রক্তদানই আমাদের সমসময় স্মরণ করিয়ে দেয় আমরা সবাই এক ও অভিন্ন।
অনুষ্ঠানে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, এই ধরণের শিশু মেলায় শিশুদের একে অপরের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হয়। এতে শিশুদের চিন্তা চেতনা, দায়বদ্ধতা, বিচার করার মানসিকতার বিকাশ ঘটে। ভবিষ্যতে তাদের সুনাগরিক হিসেবে আত্মপ্রকাশে সহায়তা করে। শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়েতোলার দায়িত্ব অভিভাবকদের রয়েছে। রক্তদানের প্রসঙ্গে পর্যটন মন্ত্রী বলেন, রক্তদানের মাধ্যমে মানব ধর্ম পালনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, সামাজিক সংগঠন সমূহ উদ্যোগী হয়েছে। কারণ রক্তদানের মতো মানবধর্ম পালনের আর কোনও বিকল্প হয়না।
অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি শিশুদের প্রতিভার বিকাশে শিশু উৎসব অন্যতম একটি উপযোগী প্ল্যাটফর্ম। তিনি রক্তদানের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে সবাইকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের কর্পোরেটর সম্পা সরকার চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নব অঙ্গীকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সম্পাদক দেবদাস বক্সি। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন শিশুমেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দেবাশিস রায়। অনুষ্ঠানে ‘সারথি’ নামে একটি স্মরণিকাও প্রকাশিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ এই স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজসবী বি কে রায়, সমাজসেবী সঞ্জয় সাহা, প্রাক্তন কাউন্সিলার জয়ন্ত চৌধুরী, নব অঙ্গীকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সভাপতি কিশোর মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।