Hare to Whatsapp

ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ত্রিপুরার পরিচয় বহন করে আসছে : প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪: ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সাহিত্যই ত্রিপুরার পরিচয় বহন করে আসছে। রবীন্দ্র সংগীত, শাস্ত্রীয় সংগীত, লোক সংস্কৃতি ত্রিপুরার সাংস্কৃতিক আত্মার অন্যতম অংশ। ১২ জানুয়ারি রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে শাস্ত্রীয় সংগীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা একথা বলেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিগণ গত ৯ জানুয়ারি প্রয়াত ওস্তাদ রশিদ খানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী কণিকা দেববর্মণকে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে শাল ও স্মারক দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।

শাস্ত্রীয় সংগীত সন্ধ্যার উদ্বোধন করে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা রাজন্য আমলের সংস্কৃতি চর্চার স্মৃতিচারণ করে বলেন, রাজ্যে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে শাস্ত্রীয় সংগীতের ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে শাস্ত্রীয় সংগীতের প্ল্যাটফর্ম তৈরির দায়িত্ব নিতে হবে। অনুষ্ঠানে তিনি রাজ্যে শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চা বাড়াতে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যের চিরাচরিত এবং শাস্ত্রীয় ঘরানার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকারের সাথে যৌথভাবে উপদেষ্টা কমিটি কাজ করছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করার জন্য সংগীত নাটক একাডেমি ও এনইজেডসিসিকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মীনারাণী সরকার ও বরিষ্ঠ তবলা শিল্পী গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে কলকাতার পন্ডিত সন্দীপন সমাজপতি শাস্ত্রীয় সংগীত, দিল্লির পন্ডিত রাজেন্দ্র প্রসন্ন বাঁশি এবং আগরতলার দেবজ্যোতি দাসগুপ্ত তবলা, ড. অনির্বাণ বিশ্বাস বেহালা ও ড. দেবজ্যোতি লস্কর কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.