Hare to Whatsapp
দেশের পরম্পরাগত সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য আমরা গর্বিত : কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ৬, ২০২৪: দেশের পরম্পরাগত সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য আমরা গর্বিত। প্রত্যেক ভারতবাসী একে অপরের ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে দেশ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ৫ জানুয়ারি নজরুল কলাক্ষেত্রে আয়োজিত ৪৫দিন ব্যাপী ভাস্কর্য কর্মশালা পরিদর্শনে এসে কেন্দ্রীয় বিদেশ ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মিনাক্ষী লেখি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন। তিনদিনের রাজ্য সফরের শেষ দিনে আজ প্রথমে তিনি ছবিমুড়া পরিদর্শন করেন। পরে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই ভাস্কর্য কর্মশালা পরিদর্শনে আসেন তিনি। রাজ্যে এনইজেডসিসি ও ললিতকলা অ্যাকাডেমি যৌথভাবে এই কর্মশালা বাস্তবায়ন করছে।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, কর্মশালায় যে সব ভাস্কর্য তৈরী করা হচ্ছে তা আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী ক্ষেত্র বারানসীর সৌন্দর্য্য বিকাশে বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় স্থাপন করা হবে। দেশে এই ধরণের উদ্যোগ প্রথম বারের মতো নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রায় ১০ কোটি লোক বারানসীর দর্শনে যান। এই উদ্যোগের ফলে দেশ তথা বহির্বিশ্বের জনগণের নিকট ত্রিপুরার শিল্পীদের উৎকৃষ্ট কারিগরি পৌঁছে যাবে। এর ফলে ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রতি মানুষ আকর্ষিত হবে। তিনি আরও বলেন, ছবিমুড়া, ঊনকোটির মতো রাজ্যের পর্যটন স্থলগুলিতে ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতির ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ। এইগুলিকে আরও প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে রাজ্যের পর্যটন পরিকাঠামোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নজরুল কলাক্ষেত্রে প্রতিমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য ও যুগ্ম অধিকর্তা সঞ্জীব চাকমা সহ দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকগণ আজই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতির প্রতিমন্ত্রী দিল্লির উদ্দেশ্যে রাজ্য ত্যাগ করেন। উল্লেখ্য, কর্মশালাটিতে ৫০টি ভাস্কর্যকে রূপদান করা হচ্ছে বলে কর্মশালার কো-অর্ডিনেটর সুমন মজুমদার জানান।