Hare to Whatsapp
রাজ্যে এবছর ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে : খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জানুয়ারি ৪, ২০২৪: গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ও কৃষকদের আত্মনির্ভর করে তুলতে সরকার বছরে দুবার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। ৩ জানুয়ারি জিরানীয়া মহকুমার মাধববাড়ি সরকারি খাদ্য গোদামে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার কর্মসূচির সূচনা করে একথা বলেন খাদ্য, পরিবহণ ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৮ সাল থেকে এই কর্মসূচি চলছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন যতদিন এই সরকার থাকবে ততদিন এই কর্মসূচি থাকবে।
খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, কৃষকদের কল্যাণে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে। রাজ্যে এবছর কৃষকদের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬ হাজার মেট্রিকটনের বেশী ধান ক্রয় করা হয়েছে কৃষকদের কাছ থেকে। বিগত সরকার কিন্তু কৃষকদের জন্য এই সমস্ত কর্মসূচি গ্রহণ করেনি। বর্তমান রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আগামীতে ধানের উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য কৃষকদের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আগের মত কৃষকদের মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয় না। কৃষকদের আত্মহত্যার খবরও পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা বছরে ৬ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। সরকার যে কৃষকদের পাশে রয়েছে তা কৃষকগণ উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তিনি জানান, সারা রাজ্যে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে। রাজ্যের ৪৯টি স্থানে কৃষকদের থেকে কুইন্টাল প্রতি ২১৮৩ টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী দিনে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ধান বিক্রির কেন্দ্র খোলা হবে যাতে কৃষকরা তার উৎপাদিত ধান তার বাড়ির কাছেই বিক্রয় করতে পারেন। ফলে তাদের যাতায়াতের খরচও কমবে। খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া মহকুমার অতিরিক্ত মহকুমা শাসক সুশান্ত দেববর্মা। তাছাড়া বক্তব্য রাখেন খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ। উপস্থিত ছিলেন খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, রানীরবাজার পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন প্রবীর কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিরানীয়া নগরপঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন কুমার দাস।