Hare to Whatsapp
পরীক্ষার্থী ১৩৪০০০, পাশ করলো মাত্র ১১৯৪ টেট-১ ও টেট-২ পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্র ও অভিভাবক মহলে উষ্মা
By Our Correspondent
আগরতলা, ডিসেম্বর ১৩, : টেট-১ ও টেট-২ পরীক্ষায় বসার সুযোগ নিতে পারলোনা ত্রিপুরার বেকাররা। আজ ত্রিপুরা টিচার রিক্রুটমেন্ট বোর্ড এককালীন ছাড়ের মাধ্যমে গৃহীত টেট-১ ও টেট-২ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করেছে। শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজেই শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে এককালীন ছাড়ের মাধ্যমে গৃহীত টেট-১ ও টেট-২ পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাপারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিক্ষার্থীদের খারাপ ফলাফলের জন্য উদ্বেগ ও উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
গত ২০শে অক্টোবর টেট-১ এবং ২৬শে অক্টোবর টেট-২ পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আবেদনপত্র জমা করেছিল ৭৬৪২৭ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় বসেছিল ৬৫৭১৯ জন। আর পরীক্ষায় পাশ করেছে মাত্র ৪২৮ জন। টেট-১ পরীক্ষা গ্রহন করা হয়েছিল ১৫০ নম্বরে। পাশ মার্ক নির্ধারিত ছিল ১২০। আর টেট-২ পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আবেদনপত্র জমা করেছিল ৫৮৩৪১ জন। পরীক্ষায় বসেছিল ৫০৪০৩ জন । আর পাশ করেছে মাত্র ৭৬৬ জন। এক্ষেত্রেও ১৫০ এর মধ্যে নূন্যতম ১২০ ছিল পাশ মার্ক।
শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ আজ সন্ধ্যায় সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, আগামী বছরের মার্চ মাস-এর মধ্যে টেট-১ ও টেট-২ পরীক্ষায় আজ যারা পাশ করেছেন তাদের সবাইকে চাকুরীতে নিযুক্তি দেওয়া হবে। টেট-১ ও টেট-২ মিলিয়ে ১১৯৪ জনকে অফার দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক টেট-১ ও টেট-২ পরীক্ষায় বসার যোগ্যতার ক্ষেত্রে বি.এড বা ডিপ্লোমাহীনদের জন্য এককালীন ছাড়ের সুযোগ দিয়ে প্রায় দশ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর এবং রাজ্যের বেকাররা এই সুবর্ন সুযোগটি নিতে পারেনি। এক্ষেত্রে বেকারদের অভিযোগ- শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড এমন কঠিন প্রশ্নপত্র তৈরী করেছিল, যার কারণে খুব কম সংখ্যক পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। আর শিক্ষা দপ্তরের বক্তব্য- যেহেতু পরীক্ষার্থীরা পাশ করতে পারেনি তাই ইচ্ছা থাকলেও তারা নিয়োগ করতে পারছেনা। শিক্ষামন্ত্রী নিজেও এত কম সংখ্যক ছেলে মেয়ে পাশ করার জন্যে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ শিক্ষা দপ্তর ইচ্ছাকৃত ভাবেই শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড-এর মাধ্যমে এমন কঠিন প্রশ্নপত্র তৈরী করেছে যাতে নিয়োগ না করতে হয়।