Share Whatsapp

বিজয় দিবস ত্রিপুরার জন্য এক স্মরণীয় দিন : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, ডিসেম্বর ১৭, : সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও ১৬ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫২তম বিজয় দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে ভারতীয় সেনার উদ্যোগে লিচুবাগানস্থিত অ্যালবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়াল পার্কে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করা হয়ে থাকে। বিজয় দিবস সারা দেশের সাথে ত্রিপুরার জন্যও এক স্মরণীয় দিন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাজ্যের জনগণও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ত্রিপুরার ৪টি স্থান থেকে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ সংঘটিত করেছিল। ভারতীয় সেনাদের সঠিক পরিকল্পনার ফলেই পাকিস্তানী সেনাদের পরাজয় বরণ করতে হয় এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। সেই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই আমাদের দেশে বিজয় দিবস পালন করা হয়ে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই ভারতীয় সেনাদের জন্য গর্ববোধ করি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিটি বিভাগকে আধুনিকীকরণের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। ফলে বিদেশি শক্তিও এখন ভারতীয় সেনাকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়। এটা আমাদের দেশের জন্য গর্বের বিষয়।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মাউন্টেন ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার দীনেশ কুমার পান্ডা বলেন, প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশে বিজয় দিবস পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনেই ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করে। ৫২তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভারতীয় সেনা এক সাইকেল র‍্যালির আয়োজন করে। এই সাইকেল র‍্যালি আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল ১৯৭১ সালের বীর যোদ্ধাদের আত্মবলিদানের বীরগাঁথাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এছাড়াও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনার রেড শিল্ড ডিভিশনের মেজর জেনারেল সুমিত কাপিয়াল বলেন, আজকের দিনটি ভারতীয় সেনাদের জন্য গর্বের ও প্রেরণার দিন। ত্রিপুরার জন্যও আজকের দিনটি গৌরবের দিন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার অবদানও তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। এই যুদ্ধে অনেক ভারতীয় সেনা নিজের জীবন আত্মবলিদান দিয়েছেন। এরমধ্যে পরমবীর চক্র অ্যালবার্ট এক্কা ছিলেন অন্যতম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, আগরতলা পুরনিগমের কমিশনার ড. শৈলেশ কুমার যাদব ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদস্থ আধিকারিকগণ। অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কয়েকজন এক্স সার্ভিসম্যানকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। তাছাড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.