Share Whatsapp

সরকার বিপন্ন অংশের মানুষের উন্নয়নে সবাইকে পাশে নিয়ে চলার চেষ্টা করছে : পর্যটনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, ডিসেম্বর ১৭, : রাজ্যের বর্তমান সরকার বিপন্ন অংশের মানুষের উন্নয়নে সবাইকে পাশে নিয়ে চলার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে সাধারণ মানুষের কল্যাণে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আগরতলা টাউনহলে হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরার ২০তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। তিনি বলেন, সমস্ত সংকীর্ণতা দূরে রেখে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালে এই সমাজকে দারুণভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। এই কাজে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। হেপাটাইটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার নিয়ে হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরা যে কাজ করে চলেছে তা অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, হেপাটাইটিস একটি প্রাণঘাতি রোগ। সঠিকভাবে চিকিৎসা না হলে এই রোগে অনেকেই প্ৰাণ হারান। রাজ্যে লিভারের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ভারতে প্রতিবছর হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হয়ে ১ লক্ষের উপর মানুষ মারা যান। তাই হেপাটাইটিসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে। তিনি বলেন, দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে গেলে যে কোনও কঠিন কাজও সহজে সমাধান করা যায়। কোভিড মহামারির সময় আমাদের সবার জীবনেই এক অনিশ্চয়তা গ্রাস করেছিল। আমরা জানতাম না সবাই আমরা আবার একত্রে মিলিত হতে পারবো কিনা। ভারতের বিজ্ঞানীরা খুব কম সময়ে দুটি কোভিডের টিকা আবিষ্কার করে সেই অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডা. মনোজ কুমার চক্রবর্তী সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের দেশ থেকে একদিন টিবি রোগ নির্মূল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এইডসের মোকাবিলায় জনসচেতনতা গড়ে তোলার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. প্রদীপ ভৌমিক বলেন, হেপাটাইটিস বি-র পাশাপাশি এই সংস্থা এখন হেপাটাইটিস বি, সি, এইচআইভি নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। মানুষের বিপদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে সংস্থা মিশন হাসপাতাল গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে। অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরার (এইচএফটি) টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ডা. অজিত রঞ্জন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. এন এল ভৌমিক। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন এইচএফটির সাধারণ সম্পাদক দিবাকর দেবনাথ। অনুষ্ঠানে ডা. ব্রজদুলাল সাহাকে লাইফটাইম এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। ডা. রতন ভট্টাচার্য মেমোরিয়াল মেম্বার অব দ্য ইয়ারের পুরস্কার পেয়েছেন সংস্থার কুলাই ব্রাঞ্চের জঙ্গল চরণ মসলম। এবছরের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের পুরস্কার পেয়েছেন সীতা দাস। এবছরের সেরা জোনাল ব্রাঞ্চের পুরস্কার পেয়েছে সাউথ জোনাল ব্রাঞ্চ। পর্যটনমন্ত্রী সহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিগণ তাদের হাতে পুরস্কারগুলি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন পর্যটনমন্ত্রী সহ অতিথিগণ।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.