স্বেচ্ছায় রক্তদানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আরও বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ৬, : স্বেচ্ছায় রক্তদানে রাজ্যের সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আরও বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে। রক্তদান শিবিরগুলির পাশাপাশি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতেও স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। ৫ মে আগরতলা প্রজ্ঞাভবনে ত্রিপুরা রাজ্য রক্ত সঞ্চালন পর্ষদ আয়োজিত রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যার নিরিখে ১ শতাংশ রক্তের যোগান থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে রাজ্যে গত বছর ৪২ হাজার ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়েছে। সারা বছর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে রক্তদান শিবির আয়োজিত হচ্ছে। এছাড়া সংকটময় পরিস্থিতিতেও অধিক পরিমাণে রক্তদান শিবিরের আয়োজনে বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসেন বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি নির্বাচনকালে এবং করোনার মতো মহামারির সময় রক্তের প্রয়োজনীতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যেহেতু রক্ত বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় না তাই রক্তের চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে সামঞ্জস্যতা রাখা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা, বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের বিশেষ করে প্রসবকালীন সময়ে রক্তের প্রয়োজনীয়তা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া ক্যান্সার রোগী ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদেরও রক্তের প্রয়োজন হয়৷
তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যের সবকটি জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। অনেক মহকুমা হাসপাতালেও ব্লাড ব্যাঙ্ক স্থাপন করা হয়েছে। আগামীদিনে আরও ব্লাড ব্যাঙ্ক স্থাপন করা হবে। এই সকল ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে অনেকে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।
ত্রিপুরা রাজ্য রক্ত সঞ্চালন পর্ষদ আয়োজিত আজকের রক্তদান শিবিরের উদ্যোগের প্রশংসা করে এবং এই ধরনের উদ্যোগের ফলে অন্যান্য সংস্থা অনুপ্রাণিত হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস ও স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ। উল্লেখ্য, আজকের রক্তদান শিবিরে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন শাখার মোট ৭৮ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী রক্তদান শিবির পরিদর্শন করেন এবং রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন...