Hare to Whatsapp
জনজাতিদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশে সরকার কাজ করছে : অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ৯, : উৎসব মানে মিলন মেলা। ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সকল অংশের মানুষের মিলন ঘটে। ৮ ডিসেম্বর উদয়পুরের নাতিনটিলায় ১৮তম রাজ্যভিত্তিক ওয়ানগালা উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। গোমতী জেলা প্রশাসন, ত্রিপুরা গারো ইউনিয়ন এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী শ্রীরায় বলেন, জনজাতিদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশে সরকার কাজ করছে। ওয়ানগালা উৎসবের মাধ্যমে গারো সম্প্রদায়ের লোকরা তাদের কূল দেবতার পূজা করেন। ঘরে নতুন ফসল তুলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, মহারাজা বীরবিক্রম মাণিক্যকে সম্মানের আসনে বসিয়েছে বর্তমান সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার নেতৃত্বে জনজাতি এলাকার সার্বিক উন্নয়নের কাজ চলছে। রাজ্যের বর্তমান সরকার সমস্ত জনজাতি সহ সকল অংশের মানুষকে পানীয়জল, ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। অনুষ্ঠানে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন, গারো সম্প্রদায়ের কৃষ্টি-সংস্কৃতি এই মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। ত্রিপুরা সরকার গারোদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি সহ সকল জাতির শিক্ষা, কৃষ্টি- সংস্কৃতির চর্চা ও রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা দফার সমাজপতি বীরেন্দ্র ত্রিপুরা, ত্রিপুরা ক্ষত্রিয় সমাজের সভাপতি যোগেন্দ্র দেববর্মা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, উদয়পুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার, এমডিসি সম্রাট জমাতিয়া, মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুজন কুমার সেন, সমাজসেবী মিন্টু চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ সরকার প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহঅধিকর্তা মনোজ দেববর্মা এবং সভাপতিত্ব করেন ত্রিপুরা গারো ইউনিয়নের সভাপতি সুভাষ মারাক। এই মেলায় বিভিন্ন দপ্তরের ৯টি প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়। উৎসব উপলক্ষে একটি স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন উপস্থিত অতিথিরা।