Share Whatsapp

কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের সুবিধা সমস্ত অংশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, ডিসেম্বর ৬, : সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণে দায়বদ্ধ। জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানের সূচনা হয়েছে। সমাজের প্রান্তিক জনপদের অন্তিম ব্যক্তিও যাতে সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করতেই এই দুই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর এই দুই কর্মসূচিতে আগরতলা পুরনিগমের কার্যালয় প্রাঙ্গণে পুরনিগমের সেন্ট্রাল জোনের শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের সুবিধা সমস্ত অংশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, গ্রাম ও শহর এলাকার অনেক মানুষই কেন্দ্রীয় ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুবিধা সম্পর্কে অবহিত নন। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় রাজ্যে ১৬টি ভ্রাম্যমান প্রচার গাড়ি আসবে। ইতিমধ্যেই ৩টি ভ্রাম্যমান প্রচার গাড়ি রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। এ সমস্ত ভ্রাম্যমান প্রচার গাড়ি রাজ্যের গ্রামীণ ও শহর এলাকার বিভিন্ন জনপদে সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে সহায়ক ভূমিকা নেবে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পুরনিগমের কর্পোরেটরদেরও সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা, জল জীবন মিশন, স্কিল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মতো জনমুখী প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে। সাধারণ মানুষ এ সমস্ত প্রকল্প থেকে উপকৃত হলেই প্রকল্প রূপায়ণে সার্থকতা আসবে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সরকার কাজ করছে। নগর এলাকার জনগণকে পরিষেবা প্রদানে কর্পোরেটরদের আরও সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।

অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, আগরতলা পুরনিগমের উদ্যোগে ইতিমধ্যে উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ জোনাল ভিত্তিক এ ধরনের শিবির সম্পন্ন হয়েছে। এই শিবিরগুলি থেকে প্রায় ৩ হাজার নাগরিক বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের কমিশনার ডা. শৈলেশ কুমার যাদব। শিবিরে বক্তব্য রাখেন সুবিধাভোগী শিল্পী চক্রবর্তী ও সুদীপ দাস। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনায় স্ট্রিট ভেন্ডার সুদীপ দাসের হাতে ৫০ হাজার ও বিমলা দাসের হাতে ২০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনায় তপন সাহা ও উত্তম দেবনাথের হাতে স্ট্রিট ভেন্ডারের পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়। শিবিরে আয়ুষ্মান ভারত-জনআরোগ্য যোজনায় নিবারণ দেবনাথের হাতে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ই-শ্রম কার্ড দেওয়া হয় দীপ্তি কর্মকার দত্ত ও সুশীল দাসকে।

উল্লেখ্য, শিবির উপলক্ষে পুরনিগম কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন দপ্তরের প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ প্রদর্শনী স্টলগুলির উদ্বোধন করেন। শিবিরে পুরনিগমের সেন্ট্রাল জোনের নাগরিকদের কাছ থেকে ২৬৪টি পিআরটিসি, ২৪টি এসসি, ১২টি ই-শ্রম, ৩৩টি ওবিসি, ৬টি এসটি, ৪২টি ম্যারেজ, ১০টি আয়ুষ্মান কার্ড, ৪২টি আভা কার্ডের সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ৪ জনের কাছ থেকে সামাজিক ভাতার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। শিবিরে আগরতলা পুরনিগম থেকে আরওআর ও ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়। শিবিরে ৫৫ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হয়। উদ্যানপালন ও ভূমিসংরক্ষণ দপ্তর থেকে ১০০ জনকে লেবুর চারা দেওয়া হয়েছে। মৎস্য দপ্তর থেকে ১ জন মৎস্যজীবীকে আইস বক্স ও ২ জন মৎস্যজীবীকে মাছের খাদ্য দেওয়া হয়। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর থেকে ৩৮ জন প্রাণীপালককে ঔষধ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র- ইন-কাউন্সিলারগণ, কর্পোরেটরগণ ছাড়াও অতিরিক্ত কমিশনার মোহম্মদ সাজ্জাদ পি, সহকারি কমিশনার তরুণকান্তি সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আগরতলা পুরনিগমের সেন্ট্রাল জোনের চেয়ারম্যান রত্না দত্ত।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.